লাইসেন্স নবায়ন জটিলতা ইস্যুতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে চলা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়নের সময় বৃদ্ধি করায় সোমবার বিকেল ৪টায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু। এর আগে লাইসেন্স নবায়নের সময়সীমা বৃদ্ধির একটি আদেশ জারি করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।
কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দাবি মেনে লাইসেন্স নবায়নের জন্য সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে মঙ্গলবার যেসব সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা কাজ করতে পারছিলেন না, নতুন আদেশের ফলে তারা এখন কাজ করতে অনুমতি পেলেন। আমরা আশা করি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ বর্ধিত সময়সীমার মধ্যে আমাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের লাইসেন্স নবায়ন আবেদন গ্রহণ করবেন।’
এর আগে লাইসেন্স নবায়নের দাবিতে বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে কর্মবিরতি পালন করেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার ও লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব সালাহউদ্দিন রিজভী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, যে সব শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং সেল্ফ ক্লিয়ারিং এজেন্টরা ২০২২-২০২৬ সালের জন্য এজেন্সি লাইসেন্স নবায়নের আবেদন দাখিল করেছেন, তাদের আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হলো। একইসঙ্গে যে সব কাস্টমস এজেন্ট নবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দলিলাদি (শর্ট ডকুমেন্ট) দাখিল করেননি, সে সব কাস্টমস এজেন্টকে তা দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হলো। ওই সময়-সীমার পর আর কোনো সময় বর্ধিত করা হবে না।
একইদিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে । রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস মামলা ও বিরোধ নিষ্পত্তি) আবদুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, লাইসেন্সিং বিধিমালা অনুযায়ী নবায়ন সংশ্লিষ্ট দলিলাদি পাওয়া সাপেক্ষে লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে। পার্টনারশিপ অ্যাক্ট-১৯৩২ এবং কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর আওতায় জয়েন্ট স্টক অব রেজিস্ট্রার কর্তৃক যথাযথভাবে অংশীদারী প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিতে রূপান্তরের মাধ্যমে লাইসেন্সের গঠনগত পরিবর্তন হলে তা বিধিসম্মত বিবেচনা করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। দেশের ছয়টি কাস্টম হাউজের কমিশনারের এ নির্দেশনা দিয়ে ইমেইল করা হয়।