জ্যৈষ্ঠের তাপে পাকছে আম-কাঁঠাল। রসালো ফলের মৌতাত নিয়ে জ্যৈষ্ঠ এলেও স্বস্তিতে নেই দেশবাসী। সূর্যের খরতাপে পুড়ছে মানুষ। বাড়ির বাইরে পা রাখাই যেন দায়। চলছে দাবদাহ।
ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’র প্রভাবে কদিন আগেও নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছিল। তাতে জনজীবনে কিছুটা দুর্ভোগ তৈরি হলেও স্বস্তিতে ছিলেন মানুষ। কিন্তু ‘আসানি’র প্রভাব কেটে যাওয়ার পর যেন ক্রমেই বাড়ছে তাপমাত্রা।
বাইরে পা রাখতেই ঘামে ভিজছে পুরো শরীর। এই যখন অবস্থা, তখন কোনো সুখবর নেই আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে। তারা বলছে, এই অবস্থা চলবে আরও দুই-এক দিন।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দেশে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে খুলনা জেলায়, ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা জেলায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেলা ৩টায় রেকর্ড করা হলেও সন্ধ্যা ৬টায় এটা আবার আপডেট হয়। যদি এর চেয়ে তাপমাত্রা বেশি হয় সেটা আমরা আপডেট করি।’
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকেও ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু অনুভূত হচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি। অর্থাৎ তামপাত্রা যত, তার চেয়ে ৯ ডিগ্রি বেশি মনে হচ্ছে মানুষের কাছে।
এ ছাড়া নোয়াখালী, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর ও বাগেরহাট জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে বলেও জানান তিনি।
দুই-এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রার বর্তমান যে অবস্থা, এটা আরও দুই-এক দিন কন্টিনিউ করবে।’
আবহাওয়া অফিস বলছে, জ্যৈষ্ঠ মাসে এমন গরম পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। বৃষ্টি পড়লেই তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।
বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজ-কাল ঢাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে খুবই ক্ষীণ।’
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও এবং খুলনা ও বরিশালের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।