বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মামার সামনেই ভাগনেকে টেনে নিল আড়িয়াল খাঁ

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ১৭:২২

নছিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর খান জানান, সৈয়দ হাসান ও তার মামা দীন ইসলাম দুজনই ঢাকায় থাকেন। গত শুক্রবার মামার সঙ্গে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন হাসান।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মামার চোখের সামনেই আড়িয়াল খাঁ নদে ডুবে গেছেন সৈয়দ হাসান নামে এক ২০ বছরের যুবক। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার থানতলী গ্রামের সৈয়দ ওহিদুল ইসলামের ছেলে। ভাঙ্গায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের দোয়াইল গ্রামে দরগাবজারসংলগ্ন আড়িয়াল খাঁ নদে এই ঘটনা ঘটে।

পরে তলিয়ে যাওয়ার ২০ ঘণ্টা পর বুধবার সকাল ১০টার দিকে সৈয়দ হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে ভাঙ্গা ও বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবরি দল।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে দোপপাশা গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছরের দীন ইসলাম তার ভাগনে সৈয়দ হাসানকে নিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদে গোসল করতে যান। কিন্তু দুজনের কেউই সাঁতার জানতেন না। একপর্যায়ে অসাবধানবশত সৈয়দ হাসান নদের গভীরে তলিয়ে যেতে শুরু করেন। কিন্তু সাঁতার না জানার কারণে মামা দীন ইসলাম তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাননি। ডুবন্ত ভাগনেকে সাহায্যের আশায় বিরামহীন চিৎকার করছিলেন শুধু। কিন্তু আশপাশে কেউ না থাকায় তার ভাগনেকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেননি। চোখের সামনেই সৈয়দ হাসানকে তলিয়ে যেতে দেখেছেন দীন ইসলাম।

এলাকাবাসী জানান, পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর এলাকাবাসী ও স্বজনরা নদীর তলদেশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সৈয়দ হাসানোর কোনো হদিস পাননি। পরে ভাঙ্গার ফায়ার সার্ভিস ইউনিটকে খবর দেয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিসের ওই ইউনিটের কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ চৌধুরী জানান, প্রবল স্রোতের কারণে তাদের একটি দল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও সৈয়দ হাসানকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। পরে বরিশালের ডুবুরি বাহিনীকে খবর দেয়া হয়।

বরিশাল নৌবাহিনীর লিডার নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকাল থেকে বরিশালের ৫ ও ভাঙ্গার ৩ ডুবরি পানিতে নেমে সৈয়দ হাসানকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে সকাল ১০টার দিকে ঘটনার ২০ ঘণ্টা পর সৈয়দ হাসানের মরদেহটি খুঁজে পায় দলটি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাছিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর খান জানান, সৈয়দ হাসান ও তার মামা দীন ইসলাম দুজনই ঢাকায় থাকেন। সৈয়দ হাসান একটি হোটেলে কাজ করতেন। গত শুক্রবার মামার সঙ্গে তিনি নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর