বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচন নিয়ে সংলাপে আপত্তি নেই: হানিফ

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ১৭:০৫

গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক আলোচনায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে চারটি শর্ত দেন। পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে সংলাপে বসার প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর বিএনপির নেতারাও সংলাপ নিয়ে কথা বলতে থাকেন। তবে দুই পক্ষ আর আলোচনায় বসেনি।

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের আলোচনা উঠতে না উঠতেই মিইয়ে যাওয়ার পর আবার প্রসঙ্গটি তুললেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় আপত্তি নেই।’

বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘আগামীর নির্বাচন, রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে অনলাইন পত্রিকা বিবার্তা টোয়েন্টিফোর ডটনেট ও জাগরণ (আইপি) টিভি।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে হানিফ বলেন, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য তাদের হাতে কোনো অস্ত্র নেই। এখন আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা একটি আন্দোলন-সংগ্রামের ক্ষেত্র তৈরি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। নির্বাচন কমিশনের যে রকম সহযোগিতা প্রয়োজন, সে ধরনের সহযোগিতা সরকার করতে প্রস্তুত।

‘এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো যদি ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় তাতেও আমাদের আপত্তি নেই। সরকার চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক, সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি পরের নির্বাচনে অংশ নিলেও আবার তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হলে ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের আলোচনায় সংলাপের বিষয়টি সামনে আসে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক আলোচনায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে চারটি শর্ত দেন।

শর্তগুলো ছিল- ১. নির্বাচনকালীন সরকার হতে হবে নিরপেক্ষ, ২. নির্বাচন কমিশন হতে হবে নিরপেক্ষ। ৩. ভোটের আগে তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে ৪. তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে সংলাপে বসার প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘নির্বাচনি ব্যবস্থা কীভাবে জোরদার করা যায় সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে এমন হুমকি-ধমকি দিয়ে নয়।’

এরপর বিএনপির নেতারাও সংলাপ নিয়ে কথা বলতে থাকেন। তবে দুই পক্ষ আর আলোচনায় বসেনি। আর ভোট নিয়ে দুই পক্ষের বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়ে আবার রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হানিফ বলেন, ‘পরাজিত হলে ভোটের ফলাফল না মানা এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। সবাইকে সে ধরনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কার কারণ নেই বলেও আশ্বস্ত করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কা হবে না।’

বিবার্তা২৪ ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসির সভাপতিত্বে ও জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘বিএনপির জাতীয় সরকারের ধারণা সংবিধান সমর্থন করে না।’

এ বিভাগের আরো খবর