আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ‘মিথ্যার মহারাজা’ আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা প্রতিদিন বাসায় বসে একটি ল্যাপটপ সামনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের নামে নাটুকে ভঙ্গিতে পুঁথি পাঠ করেন।
বুধবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপি সম্পর্কে মিথ্যাচার করাই এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন বাসায় বসে একটি ল্যাপটপ সামনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের নামে নাটুকে ভঙ্গিতে পুঁথি পাঠ করেন।
‘ওবায়দুল কাদের সাহেব মিথ্যার মহারাজা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ঘুরেফিরে বিষয় একটাই- বিএনপির বিরুদ্ধে আজগুবি, অসংলগ্ন, কল্পিত সব মিথ্যাচার ও কুৎসা উদ্গীরণ করা।
‘গত রোববার দেখলাম স্বীয় বাসভবনে বসে ওবায়দুল কাদের সাহেব অভিযোগ করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নাকি দেশের টাকা বিদেশে পাচারের তালিকার শীর্ষে। হঠাৎ করেই কেন এমন আজগুবি, উদ্ভট ও হাস্যকর অভব্য অভিযোগ করলেন?
‘এর কারণটা হলো, ১২ মে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের ঘরে বসে দেয়া ভাষণে নিজেই স্বীকার করেন যে আওয়ামী লীগের নেতারা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে।’
রিজভী বলেন, ‘এই নিরেট সত্য মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়ায় নিজ দলের টাকা পাচারকারী মাফিয়াদের সাঁড়াশি আক্রমণে ভড়কে গিয়ে তার দুদিন পর ১৫ মে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের নিজের গদি রক্ষা আর পিঠ বাঁচাতে পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে নিতে চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একেবারে ডাহা মিথ্যার রূপকথা সাজিয়েছেন।’
বিএনপির এই নেতার দাবি, ‘ওবায়দুল কাদেরদের টিকে থাকার একমাত্র উপায় নতুন নতুন মিথ্যা উৎপাদন করা। আর এই মিথ্যার রাজনীতিতে বিপন্ন হয়ে পড়েছে রাষ্ট্র ও সমাজ। খেসারত দিতে হচ্ছে গোটা জাতিকে।’
সরকারের বিরুদ্ধেও জনগণের বিদ্রোহ দেখতে পাচ্ছেন বিএনপির এই নেতা। বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের বিপজ্জনক বিদ্রোহের মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। অটলভাবে একত্রিত হয়ে জনগণের একটা জাতীয় বিস্ফোরণ হতে যাচ্ছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের অপ্রতিরোধ্য গণদাবিকে বিজয়ের পথে চালিত করতে জনগণ এখন সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে।’