বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু পরিবারের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা, দুজন গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ১৪:১৮

র‍্যাব জানায়, ভুক্তভোগীদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণের জন্য দেশে চলমান সরকারি প্রকল্পগুলোতে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন বলে সেগুলোর নাম উল্লেখ করতেন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। তারা বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জাল চুক্তিপত্রের ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি দেখাতেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বুধবার সকালে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে চক্রের হোতা মনসুর আহমেদ ও তার সহযোগী মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন দলিল ও ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট।

প্রতারণার কৌশল

প্রতারকদের কৌশল জানাতে গিয়ে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘তারা ভুক্তভোগীদের (কাছে) বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণের জন্য দেশে চলমান সরকারি প্রকল্পগুলোতে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ করত। তারা বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভুয়া চুক্তিপত্রের ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি দেখাত। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে প্রতারণা চালিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রটি।

‘বর্তমানে তারা তিতাস নদী ড্রেজিং, আড়িয়াল খাঁ নদ ড্রেজিং ও নদীর তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প, ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের ড্রেনের সংস্কারকাজ, রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি অফিস কনস্ট্রাকশনের কাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশনের কাজসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার নামে প্রতারণার পরিকল্পনা করছিল।’

র‌্যাব জানায়, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের ঘনিষ্ঠ এবং দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলে দাবি করত চক্রটি। এসব বিশ্বাসযোগ্য করতে তারা নানা কৌশল অবলম্বন করত।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এই চক্রে পাঁচ থেকে সাতজন সদস্য রয়েছেন। প্রতারণার জন্য বিভিন্ন সময় নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতেন তারা। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর সেভ করতেন এবং নিজেরা ওই ব্যক্তিদের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে চ্যাট করতেন।

‘হোতা মনসুর এবং তার সহযোগী ফেসবুকে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নাম ও ছবি ব্যবহার করতেন। এসব চ্যাটিং কনটেন্ট বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সামনে উপস্থাপন করে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখাতেন।’

র‌্যাবের ভাষ্য, চক্রের আরেক সদস্য সাইফুল সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন। তিনি সেখান থেকে নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং সে দেশে বসে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতেন।

গ্রেপ্তার মনসুর এবং চক্রের সদস্যরা অফিসে মিটিংয়ের সময় বেশভুষা পরিবর্তন করে দামি গাড়ি এবং বডিগার্ড নিয়ে পৌঁছে যেতেন। নিজেদের আরও বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ছবি দেখাতেন তারা।

গ্রেপ্তার মনসুর সম্পর্কে র‌্যাব জানায়, শুরুতে এলাকায় দালালি করতেন তিনি। পরে ঢাকায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। সেখানে কাজে থাকা অবস্থায় প্রতারণার বিষয়টি তার মাথায় আসে। পরে ওই এজেন্সির এক কর্মচারীর মাধ্যমে সাইফুলের সঙ্গে পরিচয় হলে তিনি চক্রটি গড়ে তোলেন।

র‌্যাব আরও জানায়, মনসুরের সহযোগী মহসিন প্রথমে মালিবাগে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। একপর্যায়ে ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে কারখানা বিক্রি করে দিতে হয় মহসিনের। পরে মনসুরের সঙ্গে মতিঝিলে পরিচয় হলে প্রতারক চক্রে যুক্ত হন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর