দুই শতাধিক ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) লাইসেন্স নবায়ন না করার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে কর্মবিরতি পালন করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়েছে কর্মবিরতি।
বর্তমানে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা হাউজের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন।
লাইসেন্স বিধিমালা ২০১৬ ও ২০২০ এর কিছু ধারার অপব্যাখা দিয়ে কাস্টমস এসব লাইসেন্স নবায়ন করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা।
অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লাইসেন্সিং রুলের অপব্যাখা করে দুই শতাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে না। এতে মঙ্গলবার রাত থেকে এসব সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা কাজ করতে পারছে না। বিধিমালায় বলা আছে লাইসেন্স হস্তান্তরযোগ্য নয়।
‘তবে একই বিধিমালার আরেকটি অনুচ্ছেদে বলা আছে, পার্টনারশিপ ও কোম্পানি অ্যাক্টের আওতায় লাইসেন্সের গঠনগত পরিবর্তন করা যাবে। সেভাবেই লাইসেন্সগুলোর পরিবর্তন করেছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘এতো বছর পর কাস্টমস হাউজ এটি সঠিক নয় বলে লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ রেখেছে। এর প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।’
এ দিকে এজেন্টদের কর্মবিরতির কারণে কাস্টমসের শুল্কায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রমে ধীর গতির কথা শোনা গেছে।
তবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সালাউদ্দিন রিজভী জানিয়েছেন, কর্মবিরতি চললেও কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
তিনি বলেন, ‘সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের দাবি সঠিক নয়৷ দুই শতাধিক লাইসেন্স নবায়ন না করার দাবি ভিত্তিহীন। আমাদের কাছে ৬৭টি লাইসেন্সের তালিকা রয়েছে যেগুলো নানা কারণে নবায়ন করা হচ্ছে না।
‘এর মধ্যে ৪টি লাইসেন্সের মালিক মারা গেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ওই লাইসেন্সের মালিকানা পেতে তাদের উত্তরসূরীদের পরীক্ষা দিতে হবে। তারা পরীক্ষা না দেয়ায় লাইসেন্স নবায়ন করা যাচ্ছে না। বাকি ৬৩টি লাইসেন্সের যথাযথ কাগজপত্র জমা না দেয়ায় নবায়ন হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স রয়েছে মোট ৩ হাজার ৩২টি।