বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্যার পানি গোটা সিলেটে

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ১০:৫৮

পাউবো সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, ‘উজানে বৃষ্টি না থামলে জেলায় পানি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

টানা ভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে গোটা সিলেট প্লাবিত হয়েছে। জেলার ১৩ উপজেলার ৬টি আগেই বন্যার পানিতে প্লাবিত হলেও নতুন করে দুটি প্লাবিত হয়েছে। বাকি ৫ উপজেলায় আংশিক পানি ঢুকেছে। বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের জনজীবন। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এই দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়া ছয়টি উপজেলা সদর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ ও জৈন্তাপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানান, দক্ষিণ সুরমা, উপশহরসহ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুতের সাবস্টেশন পানিতে তলিতে গেছে। ফলে এসব এলাকায় মঙ্গলবার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এ ছাড়া বসতঘরে পানি উঠায় কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় সাবস্টেশনের যন্ত্রপাতি পানিতে তলিয়ে গেছে। আবার অনেক জায়গার বাসাবাড়ির মিটার পর্যন্ত ডুবে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। পানি না কমলে এটি স্বাভাবিক হবে না।’

এ দিকে পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।

নগরের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বাসিন্দা সম্রাট আহমদ বলেন, ‘একে তো ঘরে পানিতে আটকে আছি, তার ওপর বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল ফোনও চার্জ দিতে পারছি না। ফলে জরুরি প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’

বিদ্যুৎহীনতার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবায়ও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সিলেটে। সব মিলিয়ে বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

সিলেট নগরের মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিন দিন ধরে ঘরে পানি। পানির কারণে ঘর থেকেও বের হওয়া যাচ্ছে না। খাবারের সংকট না থাকলেও সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে বাথরুম ব্যবহারে। বিশেষত নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সিলেটে চতুর্থ দিনের মতো সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার কানাইঘাট পয়েন্টে পানির প্রবাহ ৬ সেন্টিমিটার কমলেও সিলেটে বেড়েছে ২ সেন্টিমিটার। নগরে ও গ্রামে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার্তদের জন্য জেলায় ১৯৯টি ও নগরে ২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উঠতে তেমন আগ্রহ নেই মানুষজনের। বন্যায় বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আজিজুর রহমান জানান, আজ বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসবেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। দুপুর ১টার দিকে সিলেটে আসার কথা রয়েছে তার। পরিদর্শনকালে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করবেন তিনি। বন্যাকবলিতদের জন্য নগরের কিশোরী মোহন ও মাছিমপুর বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

পাউবো সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, ‘উজানে বৃষ্টি না থামলে পানি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর