টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে প্রয়োজন সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রচেষ্টা। অংশীদারত্ব অ্যাপ্রোচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তবায়ন কার্যক্রমে অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে দ্রুত এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মঙ্গলবার এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ করেই আমরা উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজিয়েছি। পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলে দ্রুত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অপরচুনিটি কস্ট বিবেচনা করে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমও বাড়ানো হয়েছে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের ফুয়েল মিক্স বহুমাত্রিক। আমরা ক্লিন ও গ্রিন এনার্জিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে প্রযুক্তি-বান্ধব করা হয়েছে এবং হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগে ৪টি মডিউলে ইআরপি বাস্তবায়িত হয়েছে। পেপারলেস অফিস করার কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সাশ্রয়ী ও সহনীয় মূল্যও বিবেচনায় রয়েছে। সার্বিকভাবে বলা যেতে পারে, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিতভাবেই বাংলাদেশ সাফল্য পাবে।’
এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যক্রম তুলে ধরেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান। এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য রয়েছে। একটি লক্ষ্য, ৫টি টার্গেট ও ৬টি নির্দেশনা কীভাবে বিদ্যুৎ বিভাগে বাস্তবায়িত হচ্ছে তা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার বিভএগর পক্ষে স্ব স্ব সচিবগণ এসময় এসডিজি বাস্তবায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. শামসুল হক বক্তব্য দেন।