দেশের বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে সরকার। তৈরি করা হয়েছে বেসরকারি খাতের জন্য পলিসি গাইডের খসড়া। যার মাধ্যমে ন্যাশনাল গ্রিড বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (ইএসসিএপি) ও সাসটেইনেবল এনার্জি ফর অল যৌথভাবে আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে মঙ্গলবার তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগে নিরাপত্তাসহ ১৫ বছরের শুল্ক ছাড়, আমদানি শুল্কে রেয়াতসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে লজিস্টিক ও কারিগরি সহযোগিতা করছে।
‘বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করায় গত দশকে বিদ্যুৎ খাতে ১২ বিলিয়ন বিনিয়োগ হয়েছে। আগামী ১২ বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি খাত হতে ৪৪ শতাংশ আসছে। চলমান আটটি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটিই বেসরকারি খাতের। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে বেসরকারি খাতের ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি হয়েছে।’
সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সৌরবিদ্যুৎ রোডম্যাপ ২০২১-৪১ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সমন্বিত বিদ্যুৎ জ্বালানি মাস্টারপ্ল্যানে ক্লিন এনার্জিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন উৎসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২৯টি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অফসোর উইন্ড, গ্রিন হাইড্রোজেন, ভাসমান সোলার, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, সোলার রূফটপ ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে নতুন মাত্রা যোগ করবে।’
সেমিনারে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন ইএসসিএপির নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আসিজাবানা, ভারতের বিদ্যুৎ, নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিমন্ত্রী রাজ কুমার সিং, ইন্দোনেশিয়ার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক মন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ, নেপালের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. সুরেন্দ্র লাব কর্ণ ও ফিজির জ্বালানিবিষয়ক পরিচালক মিকেলি বেলেনা।