নড়াইলের লোহাগড়ায় সংঘর্ষের সময় এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এসময় আহত দুইজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৬০ বছর বয়সী মিজানুর শরীফ শামুককোলা গ্রামের ওয়াদুদ শরীফের ছেলে। আহতরা হলেন ৫৫ বছরের মফিদুল কাজী ও ৬২ বছরের আশরাফ আলী। তাদেরকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই আলীম কাজী গ্রুপের লোক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, লোহাগড়ার শামুকখোলা গ্রামের আলীম কাজী ও হোসেন কাজীর গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন সোমবার আলীম কাজী গ্রুপের ওবায়দুর কাজীর একটি গরু ধরে নিয়ে যায়।
এর জেরে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এই দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে হোসেন কাজীর লোকজন ভ্যানচালক মিজানুর শরীফের বুকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ মারলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় মিজানকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আহত হন মফিদুল কাজী ও আশরাফ আলী।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’