বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘আজকে বিএনপি গণতন্ত্র নিয়ে, ভোট নিয়ে নানা কথা বলছে। অথচ তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ভোট নিয়ে প্রহসন করে গেছেন, গণভোট আয়োজন করে ভোট নিয়ে তামাশা করে গেছেন। রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মৌলবাদের উত্থান ঘটিয়েছেন তিনি।’
এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন লিটন। রাবির শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
লিটন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অনেক মিল রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে বিমানবন্দরে যেমন মানুষের ঢল নেমেছিল, তেমনি শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের দিনেও বিমানবন্দরে মানুষের ঢল নেমেছিল। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তাকে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ক্ষমতায় এসে তিনি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ছেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এই সদস্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা শেখ হাসিনার মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করবেন, তাই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবে না, কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বাবলম্বী হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু মানুষের মুখের হাসি ফোটানোর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই কাজটি বাস্তবায়ন করেছেন তারই সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপউপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও উপউপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল ইসলাম।