আমের ওজনের ক্ষেত্রে একই নিয়ম চালুর ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার সকালে মতবিনিময় সভায় এই আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে সভাটি।
জেলার বিভিন্ন বাজারে আমের ওজনের ক্ষেত্রে একেক নিয়ম চালু আছে। কোনো বাজারে ৪৫ কেজিতে এক মণ ধরা হয়, কোনো বাজারে ৪৭ কেজিতে, আবার কোনো বাজারে ৫০ কেজিতে হিসাব করা হয় প্রতি মণ আমের ওজন।
এ অবস্থায় ৪০ কেজিতে মণ ধরে আম বিক্রির দাবি জানিয়ে আসছেন চাষিরা। তাদের দাবি বাস্তবায়নে কয়েক দফা উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। তবে ব্যবসায়ীদের কারণে সেটি বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সভায় বাগান মালিক, চাষি, আম ব্যবসায়ী, কৃষি বিভাগের লোকজনসহ আরও অনেকে অংশ নেন।
আমের ওজনের বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দীর্ঘ সময় আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি অংশগ্রহণকারীরা। ওজনের বিষয়টি সমাধানে আমনির্ভর তিন জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁর ঐক্যমত প্রয়োজন বলে মত দেন সবাই।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ। সভায় আম পাড়ার সময় নির্ধারণের বিষয়ও আলোচনায় হয়। সিদ্ধান্ত হয়, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও আম পাড়ার কোনো তারিখ ঠিক করা হবে না। সেই সঙ্গে অপরিপক্ক আম না নামানার ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকবে বলেও জানানো হয় সভায়।
এ বিষয়ে চাঁপাইনাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আম পাড়ার কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সভায় আমের ওজন নিয়েও কথা হয়। সেটি ৪০ কেজিতে নির্ধারণ করতে গেলে অবশ্যই আম নির্ভর তিন জেলার সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।’