বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইজিবাইক ছিনতাই করতে হত্যা করা হয় চালককে: পুলিশ

  •    
  • ১৭ মে, ২০২২ ১৪:২৩

নাটোর এসপি লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বিকেলে আসামিদের আদালতে তোলা হবে।’

নাটোরের লালপুরে চালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারা হলেন, লালপুরের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সজিব হোসেন, রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলার কাফুরিয়া এলাকার মেহেদী হাসান ও দস্তানাবাদ গ্রামের সাগর আলী।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের বড় হরিশপুর এলাকার পুলিশ লাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বড়াইগ্রামের মহিষভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলম মিলন ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন রাতে মিলন বাড়ি না ফেরায় ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে।

পরে মিলনের পরিবার বিষয়টি বড়াইগ্রাম থানার পুলিশকে অবহিত করে। পর দিন সন্ধ্যায় পাশের লালপুর উপজেলার ঘাটচিলান এলাকায় সড়কের পাশে আখের ক্ষেত থেকে মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা ফখরুল ইসলাম লালপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর ঘটনার অনুসন্ধানে নামে জেলা পুলিশের ৬টি টিম।

পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে সজিব, মেহেদী, রবিউল ও সাগরকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা মিলনকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তারা জানান, ১৪ মে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনপাড়া বাজার থেকে লালপুরের ঘাটচিলানে যাওয়ার কথা বলে তারা মিলনের নতুন ইজিবাইকটি ২৫০ টাকায় ভাড়া করে।

ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে কৌশলে ইজিবাইকটি ভাড়া করেন সজিব, মেহেদী, রবিউল ও আরেকজন। ঘাটচিলান এলাকায় পৌঁছালে তারা চালক মিলনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ আখক্ষেতে ফেলে চলে যায়। পরে ইজিবাইকটি মেহেদীর বাড়িতে রেখে আসে।

এসপি লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বিকেলে আসামিদের আদালতে তোলা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর