বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পঞ্চগড়ে চা পাতার ন্যায্য মূল্যের দাবিতে প্রতিবাদ

  •    
  • ১৭ মে, ২০২২ ১০:৫৫

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী বুধবার চা পাতার মূল্য নির্ধারণী সভা আহ্বান করা হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দাম ঠিক করা হবে।’

কাঁচা চা পাতার ন্যায্য মূল্যের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা করেছে জেলা চা বাগান মালিক সমিতি ও পঞ্চগড় চা চাষি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি।

শেরেবাংলা পার্ক মুক্তমঞ্চে সোমবার দুপুরে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়া ও পঞ্চগড়ের চা চাষিরা একই দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়কে চা ঢেলে প্রতিবাদ করেন।

ক্ষুদ্র চা চাষি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সায়েদ আলীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে ১৩ দফা দাবি সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন আন্দোলনরত ক্ষুদ্র চা চাষিরা।

এই সময় চা চাষিদের অধিকার বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শেখ মিলন, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, চা চাষি আবু তোয়বুর রহমান, আবু বকর ছিদ্দিকসহ জেলার ক্ষুদ্র চা চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মৌসুমের শুরুতে জেলার চা কারখানাগুলো চাষিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ২২ টাকা থেকে ২৬ টাকা দরে কিনে আসছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে আকস্মিকভাবে প্রতি কেজি চা পাতা ১২ টাকা থেকে ১৪ টাকা দরে কিনতে শুরু করে।

এ ছাড়াও সরবরাহকৃত কাঁচা পাতার মোট ওজনের ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত নানা অজুহাতে কর্তন করা হচ্ছে। এতে চা চাষিরা প্রতি কেজি চা পাতার দাম ১০ টাকারও কম পাচ্ছেন, যা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম।

চা কারখানা মালিকরা সিন্ডিকেট তৈরি করে এভাবে চা পাতার দাম কমিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

একই সঙ্গে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কারখানার মালিকরা কোনো কারণ ছাড়াই প্রতি কেজিতে শতকরা ২০ ভাগ কেটে রেখে দিচ্ছে। এতে করে চা চাষিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে বলেও জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক অফিসের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ শামীম আল মামুন জানান, চলতি বছর নতুন করে কাঁচা চা পাতার দাম নির্ধারণ হওয়ায় গত বছরের প্রতি কেজি ১৫.৫০ টাকা এখনও বিদ্যমান রয়েছে। এ বছর কারখানা মালিকরা প্রতি কেজি ২০-২২ টাকা দরে ক্রয় শুরু করে। নতুন করে মূল্য নির্ধারণ করলে চা চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ কারণে সেটি করা হয়নি।

কারখানায় আনা কাঁচা চা পাতার ওজনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ কেটে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের কাছে এমন অভিযোগ করেনি। প্রমাণসহ কেউ অভিযোগ করলে চা পাতা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী বুধবার চা পাতার মূল্য নির্ধারণী সভা আহ্বান করা হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দাম ঠিক করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর