বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তলিয়ে গেছে ৫ হাজার হেক্টর জমির পাকা সয়াবিন

  •    
  • ১৭ মে, ২০২২ ১০:২২

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৫ হাজার হেক্টর জমির পাকা সয়াবিন এখন পানির নিচে। ৫০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছি আমরা। সামনে যদি আরও বৃষ্টি হয় বা জোয়ারের পানি আসে তাহলে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে।’

সপ্তাহখানেক পর থেকে সয়াবিন কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চাষিরা। সয়াবিন বিক্রি করে শোধ করবেন মহাজনের ঋণের টাকা।

তবে কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত। এত দিনের পরিশ্রমের পর এমন অবস্থায় পড়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা।

অনেকের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ ও খাল-বিল সংস্কার না করায় জমিতে পানি জমেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর লক্ষ্মীপুরে ৩৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টন।

এই জেলায় সয়াবিন চাষের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৭০ হাজার কৃষক। দেশে মোট উৎপাদিত সয়াবিনের ৭০ ভাগ হয় এখানে। গত বছর প্রতি মণ সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১৬ শ থেকে ১৮ শ টাকায়। এবার বাজার দর ২২ শ থেকে আড়াই হাজার টাকা।

তবে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে মেঘনা উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির পাকা সয়াবিন। এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।

কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এলাকার হাজি জাফর মিয়া জানান, ঋণ নিয়ে সয়াবিন চাষ করেছিলেন। বৃষ্টির পানিতে ডুবে পাকা সয়াবিন নষ্ট হয়ে গেছে।

মতিরহাটের মো. লিটনও ঋণ নিয়ে সয়াবিন চাষ করেছিলেন। সয়াবিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঋণের টাকা কীভাবে শোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।

জাফর, লিটনের মতো একই অবস্থা লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার চরাঞ্চলের হাজারও কৃষকের।

রামগতির চরপোড়া গাছারা এলাকার রফিক উল্যাহর অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ ও খাল-বিল সংস্কার না করায় জমিতে পানি জমে তাদের এই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

সয়াবিনের পাশাপাশি অনেকে চিনা বাদাম, মুগডাল ও মরিচ লাগিয়েছিলেন। পানিতে এই ফসলগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৫ হাজার হেক্টর জমির পাকা সয়াবিন এখন পানির নিচে। ৫০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছি আমরা। সামনে যদি আরও বৃষ্টি হয় বা জোয়ারের পানি আসে তাহলে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে।’

জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা করা হয়ে গেলে প্রণোদনা দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর