বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক জেলার গুচ্ছগ্রামে ভিন্ন জেলার মানুষ

  •    
  • ১৭ মে, ২০২২ ০৮:৩৫

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থেকে গুচ্ছগ্রামটি দূরে হওয়ায় যারা বরাদ্দ পেয়েছেন, তারা সেখানে থাকেন না। কাছেই লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি গ্রাম। সেখানকার ১৫টি পরিবার সেখানে বসবাস করছে।

কুড়িগ্রামের একটি গুচ্ছগ্রামে বসবাস করছে লালমনিরহাট জেলার মানুষ। একসঙ্গে বসবাস করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে বরাদ্দ না পাওয়ায় হতাশ পাশের লালমনিরহাট জেলার পরিবারগুলো।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮ সালে ধরলা নদীর ধু-ধু বালুচরে ৩৫৩ টন বরাদ্দকৃত চালের বিপরীতে পাঁচ একর জমিতে ফুলবাড়ী উপজেলার ভূমিহীন ৬০টি পরিবারের জন্য গুচ্ছগ্রামটি নির্মাণ করা হয়। যেখানে এটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোড়কমণ্ডপ।

নাওডাঙ্গা থেকে গুচ্ছগ্রামটিতে যেতে ধরলা নদীর শাখা পেরোতে হয়। এ ছাড়া গুচ্ছগ্রামের দুই পাশেই রয়েছে ধরলা নদী। ফলে ফুলবাড়ী উপজেলার মানুষ জনবসতিহীন গুচ্ছগ্রামটিতে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। অথচ গুচ্ছগ্রামের অন্যপাশে লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম।

বন্যার সময় বসতবাড়ীতে পানি উঠলে ওই সব গ্রামের মানুষ উঁচু এই গুচ্ছগ্রামে আশ্রয় নেয়। ২০২০ সালের বন্যা ও নদী ভাঙনের ফলে লালমনিরহাট জেলার বুমকা ও চরফলিমারী গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ১৫টি পরিবার গত দুই বছর ধরে সেখানেই বসবাস করছে। এখানকার ৬০টি বসতবাড়িতে মাত্র ১৭টি পরিবার বসবাস করছে। এর মধ্যে মাত্র দুটি পরিবার ফুলবাড়ী উপজেলার।

লালমনিরহাটের বাসিন্দা ছফর আলী বলেন, ‘ফুলবাড়ী থেকে গুচ্ছগ্রামটি দূরে হওয়ায় যারা বরাদ্দ পেয়েছেন, তারা এখানে থাকেন না। ফলে আমরা লালমনিরহাট জেলার ১৫টি পরিবার এখানে বসবাস করছি। আমরা ফুলবাড়ীতে আবেদনও করেছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামটিতে আসার কোনো রাস্তা নেই। বিদ্যুৎ সুবিধা নেই। জনহীন এলাকা হওয়ায় রাতে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়। ফলে অনেকেই এখানে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বিশেষ করে দিনমজুর পরিবারগুলোর এখানে কোনো কাজকর্ম না থাকায় তারা আর এখানে থাকে না। আমাদের ঘর বরাদ্দ দিলে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’

গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা জরিমন বলেন, ‘অবস্থাপন্নদের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা ঘরগুলোতে বিভিন্ন মালামাল রেখে তালা দিয়ে রেখেছেন। থাকেন নদীর ওই পারে নিজস্ব বাড়িতেই।’

ফুলবাড়ি উপজেলার নাওয়াঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে এই গুচ্ছগ্রামটি প্রায় লালমনিরহাট সীমান্তে স্থাপন করা হয়েছে। ফলে আমার এলাকার মানুষ ওই ধু-ধু বালুচরে কেন থাকবে। এখন যেহেতু গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলো ফাঁকা রয়েছে, সেখানে লালমনিরহাট জেলার মানুষ থাকলে আমার কোনো আপত্তি নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত তাদের নামে ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি সরেজমিন ঘুরে দেখেছি। প্রকৃত ভূমিহীন যদি অন্য জেলার মানুষও হয় তাহলেও আমরা খতিয়ে দেখব।’

এ বিভাগের আরো খবর