কয়েক হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা ও আত্মসাৎ ঘটনার হোতা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে আদালতে তোলা হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে থাকা পি কে হালদারসহ ৬ জনকে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সিবিআই আদালতে নেয়া হবে।
আদালতে তোলার আগে ইডির তদন্তকারীরা টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পি কে হালদার চক্রের বেআইনি সম্পত্তি, পাচার করা অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্র জানার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে কোন কোন প্রভাবশালীর সঙ্গে তার উঠাবসা রয়েছে বা ছিল এবং তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের বিস্তারিত জেনে নিতে চাইছেন তারা।
এসব বিষয়ের সদর্থক জবাব না পেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পি কে হালদারসহ পাঁচজনকে আবারও হেফাজতে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানাতে পারে ইডি।
পাশাপাশি ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, এমনকি পাসপোর্ট জাল করে অবৈধভাবে এদেশে থাকার বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই বা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন তদন্ত করতে পারে। কারণ ইডি কেবল অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার রাখে।
মঙ্গলবার রুটিন মেডিক্যাল চেকআপের পর পি কে হালদারসহ ৬ জনকে সিবিআই আদালতে তোলা হবে।
‘আমি দেশে ফিরতে চাই’
পি কে হালদারকে সোমবার বিধাননগর মহাকুমা হাসপাতালে রুটিন মেডিক্যাল চেকআপের পর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে ফিরিয়ে আনা হয়। এ সময় লিফটের মধ্যে তিনি বলেন, ‘আমি দেশে ফিরতে চাই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
ইডি সূত্রে খবর, প্রথম দিকে তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অসহযোগিতা করলেও লাগাতার জেরার মুখে এক পর্যায়ে ভেঙে পড়েন পি কে হালদার। তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি হন তিনি। এদিন কখনও একা, আবার কখনও ইডির রিমান্ডে থাকা সহযোগীদের পাশে বসিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ইতোমধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদার জালিয়াত চক্রের বেআইনি বিনিয়োগের বহু তথ্য ও নথি ইডির তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। প্রয়োজনে আরও জেরা করতে ইডি অভিযুক্তদের আবারও হেফাজতে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানাতে পারে বলে জানা গেছে।