মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক গ্রেড-১৬’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার (নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার সুমন জমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একদিনের রিমান্ড শেষে সোমবার তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিব জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
লালবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানান।
সুমন জমাদ্দারকে শনিবার আদালতে হাজির করে দশদিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক শফি উদ্দিন একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের ৫১৩টি পদে নিয়োগে শুক্রবার এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ লাখ ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের দুই নম্বর ভবনের ২২৩৭ নম্বর কক্ষে এই পরীক্ষা চলাকালে একজন পরীক্ষার্থী তার কাছে থাকা প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা উত্তর দেখে এমসিকিউ প্রশ্নোত্তরের ঘর পূরণ করছিলেন। দায়িত্বরত শিক্ষিকা ওই পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা দুটি প্রবেশপত্র যাচাই করে দেখেন একটি প্রবেশপত্রের পেছনে ছোট আকারে উত্তর লেখা। তিনি বিষয়টি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই পরীক্ষার্থী জানান, তিনি পটুয়াখালীর সাইফুল ও টাঙ্গাইলের খোকনসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের সহায়তায় হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে তার মোবাইল নম্বরে প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
এ ঘটনায় দু’টি প্রবেশপত্র, একটি উত্তরপত্র, একটি প্রশ্নপত্র (ক-সেট) ও একটি মোবাইল ফোনসহ সুমন জমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পরে লালবাগ থানায় মামলা হয়।