বিল ও ঋণ খেলাপিদের মতো নারী নির্যাতন মামলার আসামিদেরও ভোটে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না দিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই অনুরোধ করেছে পরিষদ। এ সময় নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংগঠনটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেন এটা খেয়াল রাখা হয় যারা ঋণখেলাপি, মামলার আসামি, যারা নারী নির্যাতন মামলার আসামি, যারা নারীর স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, যারা সাম্প্রদায়িক, যারা সাম্প্রদায়িকতা উসকে দিচ্ছে, তারা যেন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন। সেই দিকে ওনাদের নজর দিতে বলেছি।’
নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলোচনায় আমরা যেটা বলতে চেয়েছি সেটি হলো- নির্বাচনি পুরো প্রক্রিয়াটায় নারীরা যেনো স্বাভাবিকভাবে, সুষ্ঠুভাবে, নিরাপদভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই রকম একটি নির্বাচনি পরিবেশ যেন তৈরি করা হয়।’
ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো গেলে নারীদের নিরাপত্তা কিছুটা হলেও বাড়তে পারে বলে মনে করেন ফওজিয়া। বলেন, ‘নারীরা যেন ভোট দিতে ঠিক মতো কেন্দ্রে আসতে পারে, সেই জন্য ভোটের আগে থেকে যে প্রেসার থাকে, ভোটের পরবর্তীতে যে নির্যাতনগুলো হয়, সেগুলোর বিষয়ে আগে থেকেই একটি প্রোটেক্টিভ মেজার নিয়ে রাখতে বলেছি।’
নির্বাচনি ব্যয় কমানো, পেশি ও ক্ষমতার খেলা, অর্থের খেলা সেই জায়গাটা নিয়ন্ত্রণেও সিইসির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।
বলেন, ‘লিখিতভাবে এই বিষয়ে আমরা প্রত্যেক নির্বাচন কমিশনারের কাছে দিয়েছি। সেখানে মূল কথাটা হচ্ছে, নারীরা যেন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যথাযথভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে। নির্বাচনের সময় দায়িত্বে থাকা নারী অফিসারদের নিরাপত্তার কথাও বলেছি।’
সিইসি কী বলেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি দাওয়ার সঙ্গে তিনি অবশ্যই একমত। সামগ্রিক পরিবেশ পরিস্থিতিতে তার যতটুকু ক্ষমতা আছে, তার মধ্যে থেকে যতটুকু করা যায় তা করার চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।’