বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পি কে হালদারকে ফেরাতে প্রক্রিয়া শুরু দুদকের

  •    
  • ১৬ মে, ২০২২ ১৬:৫০

দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘আমরা পি কে হালদারকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ভারতীয় ইন্টারপোল বডির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ইউনিট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আদালতের সঙ্গে কাজ করছে দুদক।’

ভারতে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে ফেরত আনতে কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দুপুরে দুদক কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যেই বিভিন্ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা কমিশনের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলাম। এজন্য আজ কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিশন আমাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

‘আমরা তাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ভারতীয় ইন্টারপোল বডির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ইউনিট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আদালতের সঙ্গে কাজ করছে দুদক।'

পি কে হালদারের পেছনে যদি কোনো অদৃশ্য শক্তি থাকে, তারাও রেহাই পাবে না বলে জানান সাঈদ মাহবুব খান।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং অপরাধের দায়ে দুদক ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি মামলা করে।

সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘মামলার তদন্তকালে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করা হলে জানা যায়, তিনি বিদেশে পলাতক আছেন। বিদেশে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

‘পরে ইন্টারপোলের চাহিদা অনুযায়ী আদালতে আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করার জন্য আবেদন করা হয় এবং আদালত তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে।’

তিনি জানান, আদালতের ওয়ারেন্ট আদেশসহ আসামির আঙুলের ছাপ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ২০২১ সালের শুরুর দিকেই ইন্টারপোলকে দেয়া হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোল আসামির বিরুদ্ধে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রেড নোটিশ জারি করে।

পরে ইন্টারপোলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে আসামির অবস্থান ও তথ্যাদি জানার চেষ্টা করা হয় বলে জানান তিনি।

দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুদক ইন্টারপোলকে দেয়ার জন্য আসামির বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে আর্থিক লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে।

‘ইতোমধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসাতের অশোক নগর এলাকা থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি) পি কে হালদারসহ তার আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।’

আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনগত প্রক্রিয়ায় দুদকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান সাঈদ মাহবুব খান। বলেন, পি কে হালদারসহ ছয় জন গ্রেপ্তার হওয়ার তথ্য জানার পর বাংলাদেশে অবস্থিত ইন্টারপোল ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) থেকে ভারতের এনসিবিতে আসামিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক শিগগির আরও কিছু পদক্ষেপ নেবে বলেও জানান তিনি।

‘আসামিদের দেশে ফেরাতে দ্রুত ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হবে। আসামিদের ভারতে পাচার করা অর্থ ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) আবার চিঠি দেয়া হবে।’

তিনি জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে গৃহীত ও আত্মসাত করা ঋণের ঘটনায় পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি পৃথক মামলা করা হয়েছে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর