নড়াইলের লোহাগড়ায় ছাগল চুরির অভিযোগে দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
কোটাকোল ইউনিয়নের মাটিয়া ডাঙ্গা গ্রামে রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সোমবার ঘটনার জানাজানি হয়।
ছাগল চুরির অফিযোগে গ্রামের ফরিদ শেখ ও তরিকুল ইসলামকে মারধর করা হয়েছে বলে জানা যায়।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হেনা মিলন বলেন, ‘ঘটনা শোনামাত্র সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি।’
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে ওই দুইজনকে বাড়ি থেকে ডেকে গ্রামের নান্নু শেখের দোকানের সামনে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাকা দেয়া হয়। নির্যাতনের এই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
নির্যাতনের শিকার ফরিদ শেখ বলেন, ‘আমি সামান্য গ্রাম্য পশু ডাক্তার। ছাগল চুরির বিষয়ে আমি তেমন কিছুই জানি না। শুনেছি গ্রামের হাই মুন্সির একটি ছাগল হারিয়েছে। বাড়িতে একা থাকায় সকালে আমাকে গ্রামের আজমল মুন্সি ডেকে নিয়ে যায়। নান্নুর দোকানের সামনে গাছে বেঁধে মেম্বার কালাম মুন্সি, আজমল মুন্সি ও নান্নুসহ ৬ থেকে ৭জন আমাকে ও তরিকুলকে মারধর করে।’
মারধরের কথা স্বীকার করে হাই মুন্সি বলেন, ‘আমি শুনেছি ওই দুজন আমার ছাগল চুরি করেছেন। তাদের সামান্য চর-থাপ্পড় মেরেছি যেন তারা ছাগলটি বের করে দেন।’
স্থানীয় কয়েকজন জানান, হাই মুন্সির যে ছাগল চুরির অভিযোগে ফরিদ শেখ ও তরিকুলকে নির্যাতন করা হয়েছে সে ছাগলটি পাশের শামছুরের বাড়িতে বাঁধা রয়েছে।
ওসি আবু হেনা মিলন বলেন, ‘নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। পেলে আইনি ব্যবস্থা নেব।’