বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাড়ি ছিঁড়েই টয়লেটে পড়ে সেই শিশুটি

  •    
  • ১৬ মে, ২০২২ ১৪:৪১

হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাচ্চার নাড়ি ছিঁড়ে গিয়েছিল। এ কারণে কোনো বাধা ছাড়াই পাইপে বাচ্চাটি ঢুকে যায়। পাশাপাশি বাচ্চার সাইজ থেকে পাইপের সাইজ বড় হওয়ায় বাচ্চাটি সহজে পাইপে ঢুকে গিয়েছিল।’

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের টয়লেটে নাড়ি ছিঁড়েই পড়ে গিয়েছিল সেই শিশুটি। হাসপাতালের তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে এমনটিই নিশ্চিত করা হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলামের কাছে সোমবার দুপুরে এক পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।

এই কমিটির সদস্য সচিব ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান শাহিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টয়‌লে‌টের প‌্যা‌নের সঙ্গে পাইপ সরাসরি যুক্ত ছিল। কোনো বাঁকা লাইন হয়ে পাইপ যুক্ত থাকলে বাচ্চাটি পড়ে প্রাণহানির শঙ্কা থাকত। পাইপ সরাসরি প্যানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় বাচ্চাটি পাইপে পড়ে গেছে।

‘তা ছাড়া বাচ্চাটির ওজন ছিল ১ কেজি ৩০০ গ্রাম এবং আকার স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট। এ কারণে সহজেই টয়লেটের পাইপে পড়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চার মায়ের প্রসব ব্যথার মধ্যে মলত্যাগের বেগ পেলে তিনি টয়লেটে যান। টয়লেটে তিনি বাচ্চা প্রসব করেছিলেন। প্রথমে বিষয়টি টের পাননি তিনি। তা ছাড়া তদন্তে পাওয়া গেছে, বাচ্চার নাড়ি স্বাভাবিকভাবেই ছিঁড়ে গেছে।’

শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন পাইপ ভেঙে উদ্ধার নবজাতক

তদন্ত কমিটির সভাপতি বরিশাল মেডিক্যালের শিশু বিভাগের প্রধান মুজিবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘তদন্তে উঠে এসেছে বাচ্চাটি ৪৭ মিনিটের মতো পাইপের মধ্যে আটকা ছিল। মেডিক্যাল সায়েন্সে এ রকম ঘটনার নজির নেই। বাচ্চাটি নাড়ি ছিঁড়েই পড়ে গিয়েছিল। বাচ্চার কোনো রক্তক্ষরণও হয়নি।

‘বাচ্চা কীভাবে বেঁচে আছে সেটা অলৌকিক, মিরাকল। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক্সপ্লেইন করার সুযোগ নেই।’

এ ঘটনায় হাসপাতালের কারও গাফিলতি ছিল না বলে জানান পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম।

তদন্ত প্রতিবেদনের বরাতে তিনি জানান, এক পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে কারও গাফিলতির বিষয় উঠে আসেনি। রোগী তার স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে নিজে থেকেই মলত্যাগের জন্য টয়লেটে যান। সেখানেই বাচ্চা প্রসব করেন।

তিনি বলেন, ‘বাচ্চার নাড়ি ছিঁড়ে গিয়েছিল। এ কারণে কোনো বাধা ছাড়াই পাইপে বাচ্চাটি ঢুকে যায়। পাশাপাশি বাচ্চার সাইজ থেকে পাইপের সাইজ বড় হওয়ায় বাচ্চাটি সহজে পাইপে ঢুকে গিয়েছিল।’

গত ৭ মে বরিশাল মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগের টয়লেটে বাচ্চা প্রসব করেন পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির গণমান শেখপাড়া বাজারের শিল্পী বেগম। এটি তার দ্বিতীয় সন্তান। তার চার বছরের আরেকটি মেয়ে আছে।

ওই টয়লেটের পাইপ তিন তলা থেকে সোজা নেমে গেছে দোতলায় শিশু ওয়ার্ডে। শিশু ওয়ার্ডের ছাদের নিচের পাইপ ভেঙে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

টয়লেটে ভূমিষ্ঠ হওয়া কোনো শিশু কী করে পাইপের ভেতরে গেল এবং তাকে কী করে জীবন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হলো তা জানতে তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করে।

হাসপাতালের পরিচালক জানান, শিল্পীকে প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। তিনি এখন শিশু বিভাগে তার সন্তানের কাছে আছেন। বাচ্চাটাকে শিগগিরই রিলিজ দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর