মাদারীপুরের কালকিনিতে কৃষকলীগ নেতা মানিক সরদার হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষের লোকজন বাদীর বসতঘরে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে হামলাকারীরা বাদীর সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। নিহতের স্ত্রী ও বাদী সীমা খানম সোমবার সকালে কালকিনি থানায় এই লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগে বাদী বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান মিলনের লোকজন মামলা তুলে নিতে আমার পরিবারকে নানাভাবে চাপ ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আসামিরা কারাগারে থাকলেও তাদের লোকজন প্রায় আমাকে মামলা তুলে নিতে বলে। বিভিন্ন সময় অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করছে।‘আমি তাদের কথা না শোনায় এই নিয়ে দু’বার আমার বাড়িতে হামলা চালানো হলো। রাতে ইট মেরে আমার ঘরের জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলেছে। আমার সন্তানকে কুপিয়ে হত্যারও হুমকি দিচ্ছে আসামিপক্ষের লোকজন। শনিবার রাতে আমার বসতঘরে হামলা করেছে। এরপর থেকে আমি খুবই চিন্তায় আছি। ঘর থেকে বাহিরে যেতে ভয় পাচ্ছি।’কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আসফাক রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার মধ্যরাতে বাদীর বাড়িতে হামলার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠানো হয়। সারা রাত সেখানে পুলিশের নিরাপত্তা ছিল।
‘যারা বাদীর ঘরে হামলা ও হত্যার হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে। তবে এ মামলায় যারা আসামি তারা প্রায় সবাই কারাগারে। আসামিপক্ষের হয়ে যারাই এ ধরনের কাজ করছে তাদের ধরা হবে। এ ছাড়া বাদীর পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।’কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হাফিজুর রহমান মিলন পরাজিত হন। এ ছাড়া জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি খুন হন কৃষকলীগ নেতা মানিক সরদার। আলোচিত এই হত্যার পরই এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলনের বসতঘর ও ইটভাটায় আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয়রা। বর্তমানে হাফিজুর রহমান মিলন পলাতক রয়েছে।