বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহবধূকে ‘শ্বাসরোধে হত্যা’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৬ মে, ২০২২ ১২:৩৭

কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রোজিনার ভাই আবু হাসান মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

উপজেলার বাজারগ্রাম রহিমপুরের যমুনা নদীর তীরের একটি ভাড়া বাসা থেকে সোমবার ভোররাতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

৩৩ বছরের রোজিনা খাতুন উপজেলার বাজারগ্রাম রহিমপুরের শেখ আবু রায়হানের মেয়ে ও ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সংসারে অভাবের কারণে বিরোধের জেরে রোজিনাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর শফিকুল ইসলাম পালিয়েছে।’

রোজিনার পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, রোজিনার সঙ্গে পাঁচ বছর আগে একই উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের শেখ রবিউল ইসলামের বিয়ে হয়। ২টি মেয়েসন্তান থাকলেও আড়াই বছর আগে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

এরপর রোজিনা বাবার বাড়িতে থেকে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও ছাত্রাবাসে কাজ করে নিজের খরচ চালাতেন। এ সময় মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় কোটচাঁদপুরের মোহনপুর গ্রামের বাসচালক ৩৩ বছরের শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। দেড় বছর আগে তারা বিয়ে করেন।

বিয়ের পর তারা যশোরের ঝিকরগাছায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কিন্তু অভাবের সংসারে না থেকে রোজিনা আবার বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন পাঁচ মাস আগে।

কয়েক দিন পর শফিকুলও তাদের বাড়িতে এসে উপজেলা পরিষদের সামনে বাসা ভাড়া নেন। এ সময় রোজিনা আবার বাসায় ও ছাত্রাবাসে রান্নার কাজ শুরু করেন। তবে অপরিচিত জায়গায় এসে শফিকুল কোনো কাজ পেত না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকত।

রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির মালিককে আরেক ভাড়াটিয়া ফোন করে জানান, তারা সারা দিন রোজিনাকে বাসা থেকে বের হতে দেখেননি। শফিকুলকেও দেখা যায়নি। আগের রাতে তারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোলের আওয়াজ শুনতে পান।

পরে সন্দেহ হলে খবর দিলে গভীর রাতে পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খায়রুল ইসলামের সহায়তায় তালা ভেঙে রোজিনাকে মেঝের ওপর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

ওসি জানান, রোজিনার গলায় দড়ি দিয়ে টান দেয়ার মতো দাগ রয়েছে। মুখেও আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাদুলির নাইলনের সুতা (কার) দিয়ে শফিকুল রোজিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।

ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রোজিনার ভাই আবু হাসান মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর