খুলনার বটিয়াঘাটায় ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে দুই বোনকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার মধ্যরাতে মামলার পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে র্যাব ও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন মুজাহিদ, আজিজুল ও নাঈম।
বটিয়াঘাটা থানার তদন্ত পরিদর্শক জাহিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এক ভুক্তভোগীর মা তিন জনের নামে মামলা করেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাঈমকে গ্রেপ্তার করে। বাকি দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।’
র্যাব-৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে ছায়া তদন্ত শুরু করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে মুজাহিদ ও আজিজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বটিয়াঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হবে।’
স্কুলছাত্রীর মা নিউজবাংলাকে জানান, ধর্ষণের ঘটনা শনিবার মধ্যরাতের। সে সময় ঘরে থাকা ২২ মাসের শিশুকে পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়। রোববার রাতে মেয়ে দুটি ও শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশও যায় সে সময়।
তিনি বলেন, ‘শনিবার বিকেলে আমি বোনের বাড়ি ডুমুরিয়ায় গিয়েছিলাম। আমার স্বামী বাগেরহাটে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এ সময়ে বাড়িতে ওরা দুই বোন ছিল। মধ্যরাতে ৭ জন আমাদের বাড়িতে যায়। তাদের কয়েকজন বাইরে পাহারায় থাকে আর কয়েকজন ঘরে ঢুকে দুই মেয়েকে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।
‘ভোররাতে মেয়ে আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। আমরা গিয়ে তাদের মেডিক্যালে নিয়ে আসি। ঘটনার সময় বড় মেয়ের সন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল। পরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে রাখে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড় মেয়ে সেখানে গেছে ছেলে নিয়ে। সেও বেশ অসুস্থ।’
পরিদর্শক জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগ তোলা দুজন খালাতো বোন। এদের একজনের বয়স ১৩, আরেকজনের ২৪। বড় বোনের সম্প্রতি বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে। ২২ মাসের সন্তান নিয়ে তিনি খালার বাড়ি এসেছিলেন। ছোট মেয়েটি স্কুলছাত্রী।