পাকশী রেল বিভাগের ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার (টিটিই) শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসাদাচরণের কোনো প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি। তাকে নির্দোষ উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা নেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি ৪০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়।
ডিআরএম শাহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবেদনে টিটিইকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলা হয়েছে। ওই ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলাম বিনা টিকেটের যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্তকে টিটিইর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বাধ্য করেন।
রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করার অপরাধে গত ৫ মে ইমরুল কায়েস প্রান্ত, ওমর এবং হাসানকে জরিমানা করেছিলেন টিটিই শফিকুল। এর মধ্যে প্রান্ত টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
৫ মে রাতের এ ঘটনার পর ওই টিটিইকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, যা নিয়ে তৈরি হয় সমালোচনা।
প্রান্তর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে রেল বিভাগ। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। পরে এই সময় দুদিন বাড়িয়ে ১৬ মে করা হয়।
এর আগে ৮ মে তাকে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেয়ার কথা জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ১০ মে কাজে যোগ দেন শফিকুল।
তবে তাকে বরখাস্ত করার দায় চাপানো হয় পাকশীর রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের ওপর।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে খবর আসে, রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আকতার মনির নির্দেশে শফিককে বরখাস্ত করা হয়। শাম্মীর মামাতো বোন ইয়াসমিন আক্তার নিপা বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। রেলমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন, তার স্ত্রী টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে টেলিফোন করে অভিযোগ দিয়েছিলেন।
এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে ৮ মে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তার ‘নবপরিণীতার’ বোঝার এখনও অনেক কিছু বাকি।