বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হালদায় মাছের ডিম কম কেন

  •    
  • ১৬ মে, ২০২২ ১১:৪২

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘পানির কোয়ালিটি, পাহাড়ি ঢল, বজ্রসহ বৃষ্টি এসবের ওপর মাছের ডিম ছাড়া নির্ভর করে। এবার তো পাহাড়ি ঢল নেই। তা ছাড়া ভোরে বৃষ্টিও হয়নি। তাই ডিমের পরিমাণ কম।’

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মাছ।

বৈশাখী পূর্ণিমার জোয়ারের সময় সোমবার ভোরে হালদার বিভিন্ন পয়েন্টে মাছ ডিম ছাড়ে।

তবে ডিম সংগ্রহকারী ও গবেষকরা বলছেন, পানি কম থাকায় মাছ ডিম দিয়েছে অল্প পরিমাণে।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘ভোরে মদুনাঘাট থেকে রামদাস মুন্সির হাট পর্যন্ত কয়েকটি পয়েন্টে অল্প পরিমাণ ডিম ছেড়েছে মা মাছ। ডিম সংগ্রহকারীরা এখন পরবর্তী জোয়ার ও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন।

‘হালদায় সাধারণত এই সময়টায় অমাবস্যা বা পূর্ণিমা তিথিতে নদীতে জোয়ার-ভাটার মধ্যে মা মাছ নিষিক্ত ডিম ছাড়ে। এই সময় বলতে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে একদম মে মাসের শেষ পর্যন্ত। পানির কোয়ালিটি, পাহাড়ি ঢল, বজ্রসহ বৃষ্টি এসবের ওপর মাছের ডিম ছাড়া নির্ভর করে।’

মনজুরুল আরও বলেন, ‘এবার তো পাহাড়ি ঢল নেই। তা ছাড়া ভোরে বৃষ্টিও হয়নি। তাই ডিমের পরিমাণ কম।’

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, ‘হালদায় মা মাছ প্রাথমিকভাবে ডিম ছেড়েছে। ডিম সংগ্রহকারীরা বলছেন তা পরিমাণে কম। তারা মাছের ডিম ছাড়ার চূড়ান্ত সময়ের অপেক্ষা করছেন।’

সংগ্রহকারীরা জাল দিয়ে পানি থেকে ডিম সংগ্রহ করেন। তারপর হ্যাচারিতে সেই ডিম ফুটিয়ে রেনু উৎপাদন করা হয়। প্রতি কেজি রেনু বিক্রি হয় ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায়।

এ বিভাগের আরো খবর