আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে গ্রেপ্তার এবং দেশে ফিরিয়ে আনতে জারি করা রুলের শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ দিন ঠিক করে।
ভারতের অর্থসংক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শনিবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে। তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় ইডি।
গোয়েন্দা সংস্থাটির হেফাজতে পি কে হালদারকে পশ্চিমবঙ্গের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পি কে হালদারের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে আদালত মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেয়।
ওই সময় আদালত বলে, পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করায় ভারতকে ধন্যবাদ জানানা উচিত।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। ওই রুল শুনানির অপেক্ষায় ছিল।
হালদারকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে।
এর আগে দেশে আসার ঘোষণা দিয়ে পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের মাধ্যমে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে পি কে হালদার দেশে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এ আদেশের পর অসুস্থতার অজুহাতে দেশে ফিরবেন না বলে জানান পিকে হালদার।
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে অবস্থান করছিলেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি পি কে হালদার।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রিলায়েন্স ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন পি কে হালদার। এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে থাকা ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে কৌশলে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি ও তার সহযোগীরা। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে।
সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।