দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেড্রো সানচেজ।
স্থানীয় সময় সোমবার সকালে মাদ্রিদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্পেন ১৯৭২ সালের ১২ মে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশ এ বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে।
বার্তায় প্রেসিডেন্ট পেড্রো সানচেজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অনন্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল, সক্রিয় ও দৃশ্যমান ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাদ্রিদে ২০২০ সালে গৃহীত ‘টুগেদার ফর অ্যা রেইনফোর্সড মাল্টিলেটারালিজম’ শীর্ষক যৌথ ঘোষণাপত্রে থাকা বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থার নীতির প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন ও অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে ঢাকায় স্পেনের আবাসিক দূতাবাস চালুর পর থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বেগবান ও বহুধা বিস্তৃত হয়েছে।
‘স্পেন বর্তমানে বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। স্পেনীয় উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের উপস্থিতি সম্প্রসারণে ক্রমবর্ধমানভাবে আগ্রহী।’
বাণিজ্যের পরিধি ও বৈচিত্র্য বৃদ্ধি এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিবিধ ক্ষেত্রে বিদ্যমান অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে স্পেন বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পেড্রো সানচেজ।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্পেনের প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন।
বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনের (সিওপি ২৫) পার্শ্ববৈঠকে স্পেনীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়টি স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনার আশা, সামনের দিনগুলোতে শিল্প ও প্রযুক্তি সহায়তা, ডিজিটাল কানেকটিভিটি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, লজিস্টিকস ও পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং গবেষণাক্ষেত্রে পারস্পরিক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে স্পেনের বিনিয়োগ বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান।
বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্পেনের প্রেসিডেন্টকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।