বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করে কারাগারে স্বামী

  •    
  • ১৫ মে, ২০২২ ২১:০৬

আদালতের পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস বলেন, ‘যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন মামলায় রাজন মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই সময় বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান অভিযুক্ত রাজন মিয়া নামে এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক ৪ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক ড. রাশেদ এ আদেশ দেন।

আদালতের পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস বলেন, ‘যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন মামলায় রাজন মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই সময় বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

২১ বছর বয়সী গ্রেপ্তার রাজন মিয়া নেত্রকোণা সদর উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের ঝগড়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন।

মামলার বরাত দিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিয়ের সময় রাজন মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। গত রমজানের আগে থেকে আবারও যৌতুক চেয়ে শিউলির ওপর নির্যাতন শুরু করেন রাজন। শিউলির বাবা একটি মোবাইল কিনে দেন রাজনকে।

‘পরে ২০ হাজার টাকা ও ঘরের আসবাব যৌতুক হিসেবে চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন শিউলি। এতেই শুরু হয় শিউলির ওপর নির্যাতন। গত শুক্রবার শিউলির স্বামী রাজন, শাশুড়ি জরিনা খাতুন ও জা রুমা আক্তার মিলে মারধর করেন। একপর্যায়ে শিউলির হাত-পা বেঁধে মারধর শেষে শরীরে মরিচের গুঁড়া দেয়া হয়।’

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শনিবার রাতে শিউলিকে তার বাবার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালানোর সময় স্থানীয়রা রাজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসে।’

শিউলি আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যৌতুকের জন্য মাঝেমধ্যেই মারধর করা হতো। পরিবারের কাছে টাকা না থাকায় দেয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্য আমার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল স্বামীসহ তার পরিবার।

‘শুক্রবার আমাকে বেধড়ক মারধর করার পর হাত-পা বেঁধে রাখা হয়। আমি পানি চাইলে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পানি দেয়া হয়। পরে যন্ত্রণায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যাই। পানি থেকে উঠতে চাইলে আমার স্বামী আমাকে আবারও মারধর করে। পরে সেই মারধরের ভিডিও আমার জা রুমা আক্তার তার ফোনে ধারণ করে। আমার স্বামীসহ তাদের বিচার চাই।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পি এস এম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগীর দেয়া অভিযোগটি তাৎক্ষণিক মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর