নোয়াখালীর মাইজদীর একটি স্কুল থেকে গ্রেপ্তার করা জামায়াতে ইসলামীর ৪৫ নেতাকর্মীকে রোববার কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘তারা ওই স্কুলের দ্বিতীয় তলার একটি শ্রেণিকক্ষে গোপন বৈঠক করছিলেন।’
গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন সোনাইমুড়ী উপজেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ হানিফ, চাটখিল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, সেনবাগ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো.নুরুল আফসার, চাটখিল উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মহিউদ্দীন হাসান ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলায়েত হোসেন। এ ছাড়া আছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
আসামিদের রোববার সন্ধ্যায় নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর এলাকার আল ফারুক অ্যাকাডেমির দ্বিতীয় তলা থেকে আটক করা হয় ৪৫ জনকে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিভিন্ন উপজেলার জামায়াত নেতাকর্মীরা মাইজদী আল ফারুক অ্যাকাডেমির দ্বিতীয় তলায় সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। বৈঠক চলাকালে পুলিশ অভিযান চালায় এবং তাদের আটক করে।
‘আটক ব্যক্তিদের কাছে ধর্মীয় বিরোধ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের বই ছিল, যা জব্দ করা হয়েছে। তারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির জন্য পরিকল্পনায় বসেছিলেন।’
জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।