বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের ‘হামলা’

  •    
  • ১৫ মে, ২০২২ ১৬:২১

সাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, ‘আমি যখন বক্তব্য দেব তখন কর্মীদের অনুরোধে আমাকে মাইক্রোফোন দেয়া হয়। কিছু বলার আগেই পুলিশ মাইকের তার ছিঁড়ে দেয়। আমি নেতা-কর্মীদের শান্ত হতে বলি কিন্তু ততক্ষণে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।’

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিসহ নানা ইস্যুতে মাগুরায় বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ উঠেছে।

তবে পুলিশ বলছে, মাইক ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় নেতাকর্মীদের বাধা দিলে তারা রাগ করে চলে গেছেন। কোনো হামলা হয়নি।

জেলা বিএনপির কার্যালয় ইসলামপুর পাড়ায় রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তথ্য সংগ্রহের সময় নিউজবাংলার মাগুরা প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

সাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা স্থানীয় থানার ওসির কাছ থেকে আগেই মাইক ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছি। আমার বক্তব্যের আগে কেউ মাইক ব্যবহার করেনি। যখন আমি বক্তব্য দেব তখন কর্মীদের অনুরোধে আমাকে মাইক্রোফোন দেয়া হয়।

‘আমি কিছু বলার আগেই পুলিশ মাইকের তার ছিঁড়ে দেয়। আমি নেতা-কর্মীদের শান্ত হতে বলি কিন্তু ততক্ষণে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল, সমাবেশ করছিলাম। তবুও আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। সরকারের এমন আচরণের আমরা প্রতিবাদ জানাই।’

যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি আলিমুজ্জান উজ্জ্বল জানান, সাবেক চিফ হুইপ সবার শেষে বক্তব্য দিতে ওঠেন। তখন কর্মীরা তাকে হ্যান্ডমাইকের বদলে বড় মাইকে কথা বলতে অনুরোধ জানান। মাইকে বলতে গেলে পুলিশ এর তার ছিঁড়ে দেয়। পুলিশ দাবি করে, তাদের মাইক ব্যবহারের অনুমতি ছিল না।

এর সঙ্গে সঙ্গেই তারা লাঠিচার্জ শুরু করে। সে সময় নেতাকর্মীরাও পুলিশের দিকে চেয়ার ছোড়ে। এর মাঝে পড়ে কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। আধঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ জানান, পুলিশ যুবদল, ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, ‘বিশৃঙ্খলার অভিযোগে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’

হামলার বিষয়ে মাগুরা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘হামলা বা সংঘর্ষ হয়নি। আবাসিক এলাকায় সমাবেশে মাইক ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। তাই পুলিশ মাইক ব্যবহারে বাধা দেয়। এতে বিএনপি নেতারা রাগ করে চলে গেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর