বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেনাপোল দিয়ে ভারতে গিয়ে নাম পাল্টান পি কে হালদার

  •    
  • ১৫ মে, ২০২২ ০৯:৪৪

২০১৯ সাল থেকে এত দিন ধরে খোঁজার পর অবশেষে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এই ব্যবস্থাপনা পরিচালককে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ঘুরে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) নাম। এরপর তার বিরুদ্ধে শুরু হয় আইনি প্রক্রিয়া। তবে তার আগেই দেশ থেকে পালিয়ে যান তিনি।

২০১৯ সাল থেকে এত দিন ধরে খোঁজার পর অবশেষে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এই ব্যবস্থাপনা পরিচালককে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ঘুরে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযানে পি কে হালদারসহ যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে এক নারীও রয়েছেন, যাকে বলা হচ্ছে তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা।

ইডির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া বলছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারতে ঢোকেন আলোচিত পি কে হালদার। নাম পাল্টে তিনি নিজের নাম দেন শিবশঙ্কর হালদার।

শিবশঙ্কর হালদার পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নেয়ার পাশাপাশি পি কে জালিয়াতি করে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান কার্ড ও আধার কার্ড নিয়েছিলেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।

ইডির একজন কর্মকর্তা জানান, পি কে হালদারের সহযোগীরাও একইভাবে পরিচয় গোপন করে সেখানে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। জালিয়াতি করে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েছেন তারা।

২০১৬ সালের বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী পি কে হালদারকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে এই প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে তা নিয়ে তথ্য দিতে পারেননি এ কর্মকর্তা।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় ২০১৯ সালে পি কে হালদারের নাম সামনে আসে। এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে, পি কে হালদার তাদের একজন।

দুদক ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পলাতক পি কে হালদার তার নামে অবৈধ উপায়ে এবং ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।

অবৈধ সম্পদের অবস্থান গোপন করতে ১৭৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন পি কে হালদার। তিনি এসব অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা জমা রাখেন। পাশাপাশি এসব অ্যাকাউন্ট থেকে তার নামে ও বেনামে আরও ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেন।

দুদকের তথ্য বলছে, পি কে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

পি কে হালদারের অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ও ঘনিষ্ঠ হিসেবে অন্তত ৭০ জনের একটি তালিকা করা হয়েছিল দেশে। তাদের অনেকেই ভারতে গিয়ে নামের আংশিক পরিবর্তন করে জালিয়াতি করে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর