ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) দ্রুত দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানার পরই সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি থাকায় প্রক্রিয়াটি সহজ হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি), যারা এখানে ইন্টারপোলের শাখা হিসেবে কাজ করে।
গত বছরের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়। তখন তার সম্ভাব্য অবস্থান জানানো হয়েছিল কানাডা।
হাজার হাজার কোাটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া বহুল আলোচিত পি কে হালদার ভারতে ধরা পড়েছে। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
তবে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ভারত সরকার। আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পরই তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে এনসিবি বাংলাদেশ এবং পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এনসিবি’র এআইজি মহিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা রেড নোটিশ করার সময় দুদক বলেছিল, সম্ভাব্য দেশ হিসেবে তিনি কানাডায় আছেন। সে অনুযায়ী আমরা কানাডায় যোগাযোগ করেছিলাম। আজ (শনিবার) তিনি ভারতে ধরা পড়েছেন বলে শুনেছি। এখন ভারত আমাদেরকে এনসিবির মাধ্যমে জানালে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাজ করবো।’
এনসিসির কর্মকর্তারা জানান, পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়া আনার প্রক্রিয়া অন্যদের তুলনায় সহজ হবে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বে থাকবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এনসিবি ও আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য সংস্থা এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারেনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। তবে জানামাত্র তাকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পি কে হালদারকে ফেরত আনতে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে অফিসিয়াললি কোনো খবর এখনো আসেনি। এলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তার নামে আমাদের এখানে মামলা রয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে আমরা ভারত সরকারের সহযোগিতা চাইব।’