তারেক জিয়া বাংলাদেশে আর রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা শ্রীলঙ্কার তুলনা বাংলাদেশে দেন, তারা অনেক আগেই পালিয়েছেন। আজকের শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিতে তারাও পড়েছিলেন। তাই তারা এসব কথা বলছেন।
‘তারেক জিয়া বাংলাদেশে আর রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ এখনও রাজনীতি করছেন। তাদের লজ্জা থাকলে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় সাড়ে ১৩ বছর ক্ষমতায়, এ কারণে আমাদের অনেকের মধ্যে আলস্য এসেছে। দলের মধ্যে সুবিধাবাদীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আজ ভাবতে হবে আমরা কীভাবে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।
‘নেতা এলে বিপুল স্লোগান, সেলফি তোলার প্রতিযোগিতা হয়। সেই ছবি শুধু ফেসবুকে দেয়া ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্য কাজ করতে দেখি না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রহুল কবির রিজভীসহ বিএনপি নেতারা পদ্মা নদীর ওপারে কীভাবে যাবেন, তা দেখার অপেক্ষায় আছি। তারা কি গাড়িতে চড়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবেন, নাকি আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়ে পার হবেন?’
নিজেকে আওয়ামী লীগের মাইকিং করা কর্মী উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়, তার প্রতিবাদে আমাদের নেতাকর্মীদের যেভাবে সরব হওয়া দরকার তা হতে দেখি না।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সংসদের চিফ হুইপ আবু সাঈদ মাহমুদ স্বপন, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও ওয়াসিকা আয়েশা খান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।