বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকার বিএনপিতে ভাঙন ধরাতে চাচ্ছে, অভিযোগ জয়নালের

  •    
  • ১৪ মে, ২০২২ ১৫:২৭

জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার কানে একটা কথা এসেছে— আমাদের দলের মধ্যে একটা ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। হালুয়ারুটি দেবে, এই লোভে কিছু লোক চলে যাবে। যদিও আমি এ ধরনের লক্ষণ দেখি না।’

সরকার বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।

জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার কানে একটা কথা এসেছে— আমাদের দলের মধ্যে একটা ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। হালুয়ারুটি দেবে, এই লোভে কিছু লোক চলে যাবে। যদিও আমি এ ধরনের লক্ষণ দেখি না।

‘এরপরও তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা যদি হালুয়ারুটির লোভের কারণে চলে যান, দলের সঙ্গে বেইমানি করেন, এই বেইমানদের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।’

সরকারের উদ্দেশে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এই দল জিয়াউর রহমানের দল, খালেদা জিয়ার দল, তারেক রহমানের দল। যত চেষ্টাই করেন এই দলকে ভাঙা যাবে না। এই দল মচকাবে, ভাঙবে না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই দল ভাঙার ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাসীনরা বক্তব্য দিচ্ছে— সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সরকারকে বলব, এটা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না, দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের মানুষ যে আন্দোলন করছে, এটা আপনাদের পতনের আন্দোলন। এই ষড়যন্ত্রের কথা বলে আপনারা থামাতে পারবেন না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সমালোচনা করে প্রবীন এই আইনজীবী বলেন, ‘আন্দোলনের কী দেখেছেন? এরশাদ নয় বছর ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের দেশনেত্রীর নেতৃত্বে আন্দোলন সফল হয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসে নাই। আপনারা হচ্ছে বড় স্বৈরাচার, ভাবছেন আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না।

‘শ্রীলঙ্কার কথা স্মরণ করেন। কীভাবে জনগণের আন্দোলনের কাছে হার মেনেছে। আমাদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশনায়ক তারেক রহমান, অতএব এই আন্দোলন থামানো যাবে না।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একটি টাকা আত্মসাৎ না করেও তাকে জেলেপুরে রাখা হয়েছে। তার নাকি বিদেশে চিকিৎসা করারও সুযোগ নেই। সম্প্রতি মেহেরপুরের এক সভায় আইনমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে আমি বলেছিলাম, আইনে সুযোগ রয়েছে ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দেয়ার। আইনমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি, যদি আইনে সুযোগ না থাকে আমি জীবনে কোনো দিন সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি করব না। আর যদি সুযোগ থাকে তাহলে আইনমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। আইনমন্ত্রী আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি।

‘সরকার আসলে খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে মেরে ফেলতে চাচ্ছে। আল্লাহর অসীম রহমতে খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন। আমি আশা করি, এই সরকারের পতন না দেখে খালেদা জিয়া মৃত্যু হবে না।’

গুম, খুনের চিত্র তুলে ধরে নিপুণ রায় চৌধুরী উপস্থিত নেতাকর্মীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের দিকে দেশের মানুষ তাকিয়ে আছেন। বোন তার ভাইকে হারিয়েছে, মা-বাবা তারা সন্তান হারিয়েছেন, স্ত্রী তার স্বামীকে হারিয়েছেন, সন্তান তার বাবাকে হারিয়েছেন। এসব পরিবার হারানো স্বজনদের অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছেন।

‘আশা করে আছেন, এই সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে স্বজনহারা পরিবার তার প্রিয় স্বজনের সন্ধান পাবেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব। এ জন্য আমাদের আরও প্রস্তুতি নিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর