প্রেমের সম্পর্ক অগ্রাহ্য করে ১০ বছর আগে কিশোরীকে বিয়ে দেয়া হয়েছিল অন্য জায়গায়। তবে এক দশক ধরেও টিকে আছে সেই প্রেম। পরিবারের চাপে বিয়ে করা সেই মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন শনিবার।
খবর পেয়ে প্রেমিকও বিষপানে আত্মহননের চেষ্টা করেন। দুজনই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলে পড়ার সময় মজলিশপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার এক কিশোরের সঙ্গে একই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে কিশোরীর পরিবার ২০১২ সালের দিকে গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়।
তাদের একটি ছেলেসন্তান আছে। বিয়ের পর একসময় কিশোরীর স্বামী কাতারে চলে যান। এরপর থেকে মেয়েটি বেশির ভাগ সময় বাবার বাড়িতে থাকেন। তবে প্রেমিকের সঙ্গে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি।
ওই মেয়েটির বয়স এখন ২৫ এবং ছেলেটির ২৭ বছর।
মেয়েটির পরিবারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদস্য জানান, দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েটিকে সাবধান করা হয়। তবুও তিনি কথা শোনেননি। এটা নিয়ে বকাবকি করা হলে শনিবার সকালে বিষ খান।
ছেলেটির পরিবারের সদস্যরা জানান, তাকে বারবার নিষেধ করা হলেও মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেননি। শনিবার সকালে মেয়েটির বিষ খাওয়ার খবর পেলে নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে বিষপান করেছে তা বলা যাচ্ছে না।’
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুজনকে ওয়াশ করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দুজনই আশঙ্কামুক্ত।’