গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কায় দুই দম্পতিসহ নয়জন নিহত হয়েছেন।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আটজন হলেন গোপালগঞ্জের সাবেক কমিশনার প্রফুল্ল কুমার সাহার ছেলে বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক বাসুদেব সাহা, তার স্ত্রী শিবানী সাহা ও ছেলে আহসানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র স্বপ্নীল সাহা এবং তাদের গাড়ির চালক ঢাকার আদাবর থানার দোয়ারী এলাকার আজিজ মিয়া; কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের ফিরোজ মোল্লা ও তার স্ত্রী রুমা বেগম এবং অনিক মিয়া ও জেসমিন আক্তার।
নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, সকালে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ঢাকা থেকে অসুস্থ মাকে দেখতে আসছিলেন বাসুদেব সাহা। কাশিয়ানীর ফুকরা থেকে মোটরসাইকেলে গোপালগঞ্জ শহরের দিকে আসছিলেন অনিক মিয়া ও জেসমিন আক্তার।
প্রথমে প্রাইভেটকারটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ঢাকাগামী রাজিব পরিবহনের একটি বাস নসিমনকে সাইড দিতে গিয়ে প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। কারটি দুমড়েমুচড়ে মহাসড়কের পাশে ধান মাড়াই মেশিনের ওপর ছিটকে পড়ে এবং বাসটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তায় উল্টে পড়ে।
এতে ঘটনাস্থলে সাতজন ও সদর হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহাসড়কে ধান মাড়াই ও দ্রুত গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহতদের গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হবে।’
মরদেহগুলো পুলিশের হেফাজতে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।