বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দিনভর অভিযানেও ধরা গেল না পি কে হালদারকে

  •    
  • ১৪ মে, ২০২২ ১১:৩৮

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি খুলে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে তা পশ্চিমবঙ্গে পাচার করে দিতেন পি কে হালদার।

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) খোঁজে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ অন্তত ১০ জায়গায় অভিযান চালিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

শুক্রবার দিনভর এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় সন্ধান করা হয় তার বিপুল সম্পদেরও। তবে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, পি কে হালদার শিবশঙ্কর নামে ভুয়া পরিচয়পত্র বানিয়ে সে দেশে অবস্থান করছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে ১০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারকে ধরতে অভিযান চালানো হয়। বাংলাদেশে নানা ধরনের ভুয়া কোম্পানি খুলে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে তা পশ্চিমবঙ্গে পাচার করে দিতেন পি কে হালদার।

সেই জালিয়াতির টাকা আবার পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শেল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হতো। জালিয়াতির টাকায় কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনা হয়।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কের জালিয়াতচক্রের সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরের সুকুমার মৃধা নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর নাম ইডির তদন্তে উঠে এসেছে।

সূত্র বলছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটানো হয়। এই চক্রের প্রধান পি কে হালদার। তাকে সহযোগিতা করতেন প্রণব কুমার হালদার ও প্রীতিশ কুমার হালদার।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির পর ভারতে পালিয়ে গিয়ে শিবশঙ্কর হালদার নামে পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট গ্রহণ করেন পি কে হালদার। তাকে সাহায্য করেন অশোকনগরের সুকুমার মৃধা।

ইডির তদন্তকারীরা বলছেন, সুকুমারের সঙ্গে পি কের দীর্ঘদিনের পরিচয়। বাংলাদেশ থেকে জালিয়াতি করে পাওয়া টাকা পশ্চিমবঙ্গে নিতে মাছ ব্যবসার আড়ালে পি কে হালদারকে সাহায্য করতেন এই সুকুমার।

সুকুমার মৃধার বাড়িতে তার জামাই সঞ্জীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া প্রণব কুমার হালদারের দুই ছেলেকেও জেরা করছে ইডি। অভিযানে বেশকিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।

ভারতে পিকের ভুয়া কোম্পানিগুলো তৈরি হয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। যেসব কোম্পানিতে জালিয়াতির টাকা খাটছে, সেসব কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে ইডি। তল্লাশি চালিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে। তাকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক পুলিশি সংস্থা ইন্টারপোলকে অনুরোধ করার বিষয়ে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

এ বিভাগের আরো খবর