ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ সময় মেয়ের বাল্যবিয়ে আয়োজন করায় ওই ছাত্রীর বাবাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া ওই ছাত্রীর ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তার অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে ইছাপুরা গ্রামের মোজাম্মেল হক কাইয়ুম মিয়ার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে একই ইউনিয়নের সাটিরপাড়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ সেই বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন এবং কনের বাবাকে বাল্যবিয়ে আয়োজনের অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ সময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-এর ৮ ধারায় কনের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং কনের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে মেয়ের বাবা ও মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়েছে।’