ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে স্বামী-স্ত্রীকে অচেতন করে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বোয়ালমারী থানায় বৃহস্পতিবার রাতে এমন অভিযোগ দেন এক নারী।
চিকিৎসার জন্য শুক্রবার দুপুরে তাকে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান শুক্রবার সন্ধ্যার পর নিউজবাংলাকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগে বলা হয়, দাদপুর ইউনিয়নের ওই নারীর স্বামী রাজমিস্ত্রি। তাদের বাড়িতে ওই ইউনিয়নের কাজী পাড়া গ্রামের ২৮ বছর বয়সী সোবহান শেখের যাতায়াত ছিল। সোবহান রাজমিস্ত্রীর জোগানদার হিসেবে কাজ করেন।
গত ৮ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোবহান তাদের বাড়ি গিয়ে কৌশলে দুজনকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ান। এরপর ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এ ঘটনার পর রক্তক্ষরণ শুরু হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এই হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই নারী হাসপাতালে এলে তার আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। রিপোর্টে দেখা গেছে, তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শুক্রবার তাকে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।’
ওই নারীর মায়ের দাবি, চেতনানাশক ওষুধের কারণে তার মেয়ের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। ভালোমতো জানার জন্য শুক্রবার রাতে দুই পক্ষকে তার বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। যে অভিযোগ করা হয়েছে ঘটনা তার চাইতেও বেশি।
‘ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং তার পেটের সন্তানের সমস্যা হয়েছে এগুলো তিনি উল্লেখ করেননি। এসব বিষয় যুক্ত করে নতুন করে অভিযোগ দেয়ার জন্য তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সোবহান শেখকে আটকে অভিযান চালাচ্ছে। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক।’