চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ‘বিগত কয়েক দিন সারা দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।’
শুক্রবার বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়িতে দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত চট্টগ্রামে শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আবুল হাশেম বক্কর আরও বলেন, ‘কুমিল্লার দাউদকান্দিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ওপর হামলা ও তার বাসভবনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণ এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কুমিল্লার চান্দিনায় এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে হামলা ও তাকে গ্রেপ্তার, ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের ওপর হামলা, পটুয়াখালীর সদস্য সচিবের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেয়াসহ সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালীর নেতাদের ওপর হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।’
এই হামলাকে কাপুরুষোচিত উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে শনিবার চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। এর ভেতরে কোনো ফাঁকফোকর নেই। এই সরকারকে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেই হবে। পরে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।’
এ সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসের সরকারের চেয়েও আওয়ামী লীগের খারাপ অবস্থা হবে। শ্রীলঙ্কায় তো সব নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আর এরা বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়বে।’
ইভিএম প্রসঙ্গে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জবাব দিয়ে দিয়েছে। আমাদের কিছু বলার আছে বলে মনে হয় না। এই সরকার নির্বাচনকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে এটা প্রমাণিত হয়েছে। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলেন ৩০০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন হবে? এর দায়িত্ব তো সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহ আলমের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, বিএনপি নেতা শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মনোয়ারা বেগম মনি, গাজী আইয়ুব আলী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাকির হোসেন, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিএনপি নেতা আবদুল বাতেন, ইদ্রিস আলী, নগর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, কৃষক দলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতীদলের আহ্বায় মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, মো. ইলিয়াছ, জানে আলম জিকু, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, হাসান ওসমান চৌধুরী, হাজি আবু ফয়েজ, মঞ্জুর কাদের, জিয়াউর রহমান জিয়া, হাজি মো. জাহেদ প্রমুখ।