বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনন্ত হত্যা: রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বাদীপক্ষ

  •    
  • ১২ মে, ২০২২ ২১:০০

বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার রায়ে চারজনকে ফাঁসি ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব, যাতে খালাস পাওয়া আসামিকে শাস্তির আওতায় আনা যায় এবং এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডরা চিহ্নিত হয়।’

সিলেটে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বাদীপক্ষ।

অনন্ত হত্যার ৭ বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে এ কথা জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।

তিনি বলেন, ‘অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার রায়ে চারজনকে ফাঁসি ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব, যাতে খালাস পাওয়া আসামিকে শাস্তির আওতায় আনা যায় এবং এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডরা চিহ্নিত হয়।’

সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব গত ৩০ মার্চ অনন্ত হত্যা মামলার রায় দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া আসামি আবুল হোসেন, ফয়সাল আহমদ, মামুনুর রশীদ ওরফে হারুন অর রশিদ ও আবুল খায়ের রশীদ আহমদকে। আর খালাস দেয়া হয় সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমানকে।

ফারাবী ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় দণ্ড পাওয়া আসামি।

যেভাবে হত্যা করা হয় অনন্তকে

২০১৫ সালের ১২ মে। প্রতিদিনের মতো সেদিনও অফিসে যেতে সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা অনন্ত বিজয় দাশ। সিলেট নগরের সুবিদবাজারের দস্তিদারপাড়ায় থাকতেন তিনি।

বাসা থেকে বের হয়ে মূল সড়কে আসার পরপরই আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা করে। তবে প্রাণভয়ে দৌড়াতে থাকেন অনন্ত। শেষে বাড়ির পাশে দিঘির সামনে নিয়ে তাকে কোপানো হয়।

অনন্তের চিৎকার শুনে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন তার বোন। অনন্তকে হাসপাতালে নিতে তিনি উপস্থিত ব্যক্তিদের সাহায্য চান। কিন্তু ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে ক্ষতবিক্ষত অনন্তকে তার ভাইবোন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার ৭ বছর পূর্ণ হয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন অনন্তকে স্মরণ করে নগরের সুবিদবাজার দস্তিদার দিঘির পাশে অনন্ত বিজয় দাশের হত্যাকাণ্ডের স্থানে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভের পাশে আয়োজন করা হয় সংহতি সমাবেশের।‘সহযাত্রী ও এলাকাবাসী’ ব্যানারে এই সমাবেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী বলেন, ‘অনন্ত হত্যার পরপরই প্রয়াত যুবনেতা মঈনুদ্দিন আহমদ জালালের উদ্যোগে হত্যাকাণ্ডের জায়গায় একটি অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। সেই সময় থেকেই একটি স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানানো হচ্ছে। এর নকশাও তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়নি।’

দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য তিনি সিটি করপোরেশনের কাছে দাবি জানান।

এর আগে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় আয়োজক ও বিভিন্ন সংগঠন। অনন্ত স্মরণে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর