সেনানিবাসের ভেতরে পতিত জমিতে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কৃষিপণ্য উৎপাদন শুরু হয়েছে জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্গানিক এসব পণ্য সেনাবাহিনীর চাহিদা মিটিয়ে জনগণের জন্যও সুলভমূল্যে পাওয়া যাবে।
সাভার সেনানিবাসে বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্তঃফরমেশন কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই দর্শন থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা প্রচেষ্টা নিয়েছি, আমাদের কোনো পতিত জমি যেন একটুও খালি না থাকে।
‘সব কিছু আমরা চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসছি। আর এটা করার জন্য আমরা আন্তঃফরমেশন একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। সেই প্রতিযোগিতার ফল নির্ধারণের জন্য আজকে আমরা সাভার এলাকায় এসেছি। এ পর্যন্ত যতগুলো অঞ্চল (সেনানিবাস) ভালো করেছে তার মধ্যে সাভার অন্যতম। আমি এখানে এসে সত্যিই মুগ্ধ।’
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আশা রাখছি, তাদের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে শুধু সেনাবাহিনী না, বাংলাদেশও অনেক লাভবান হবে। আমরা আশা করছি, ডাইরেক্টলি বাংলাদেশের মূল প্রডাকশনে আমরাও কিছু যোগ করতে সক্ষম হবো। এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে। আমরা শুধু কৃষিপণ্য উৎপাদন বাড়াচ্ছি না। এর একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, আমরা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে এটা করছি। এখান থেকে একটা অর্গানিক প্রডাক্ট আমরা তৈরি করছি।
‘এটা আমাদের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পরে সিএসডি ও বিভিন্ন যে আউটলেট আমাদের আছে সেখানে সুলভমূল্যে আমরা জনগণের জন্য দেবা। আমরা মনে করছি, মানুষ দুইভাবে লাভবান হবে। একটা হলো দাম কম আর কোয়ালিটি ভালো।’
এর আগে সেনানিবাসের কৃষিজমি পরিদর্শনের সময় ফলদগাছ রোপণসহ পুকুরে মাছ ছাড়েন। পরে সাভার ডিওএইচএস এলাকায় সেনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শুভ উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান।
এসময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল ও মেজর জেনারেল মোশফেকুর রহমান, মেজর জেনারেল খালেদ আল মামুন ও ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হকসহ উর্ধতন সামরিক কর্মকর্তারা।
সাভার সেনানিবাসে ১ হাজার ৪০০ একর জমির মধ্যে পতিত থাকা ৪১৩ একর জমি বিভিন্ন সবজি, শস্য, ফলদ ও ভেষদ উদ্ভিদ ও মাছ চাষের আওতায় আনা হয়েছে।