বাংলাদেশ চায় প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। এই দুর্যোগে তাদের কিছু সহায়তা দেয়া হয়েছে। আরও দেয়ার বিষয় বিবেচনায় আছে। এছাড়া দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা এখনও বসিনি। তাদের জন্য ওষুধ পাঠানো হয়েছে। খাদ্য পাঠানোর বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। আমরা চাই দেশটিতে শান্তি ফিরে আসুক। বন্ধু রাষ্ট্রগুলোতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক।
‘বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের স্থিতিশীলতার ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। আমেরিকা বা ইউরোপের মার্কেট ভালো থাকলে আমাদের তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়ে। মধ্যপ্রাচ্য উন্নতি করলে সেখানে বেশি শ্রমিক পাঠানো যায়। এজন্য আমরা সারা বিশ্বেই স্থিতিশীলতা চাই।’
শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা বাংলাদেশের হবে না জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি ও রেমিট্যান্স অনেক বেশি। আমাদের পরিশোধের ক্ষমতাও অনেক বেশি। কোভিডের সময় আমরা আড়াই হাজার কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পেয়েছি।
‘বাংলাদেশ ঋণের বিষয়ে অত্যন্ত বিচক্ষণ। অনেক হিসাব করে ঋণ নেয়া হয়। আমাদের ঋণের বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে নেয়া। চীনের সঙ্গে অনেকগুলো চুক্তি হয়েছে। কিন্তু টাকা নেয়া হয়নি।’
শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশি নাগরিকরা নিরাপদে আছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় বসবাস করা বেশিরভাগ বাংলাদেশি করোনার সময় সে দেশে ত্যাগ করেছেন। হাইকমিশনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় থাকা বাংলাদেশিদের যোগাযোগ রয়েছে।’
শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক আরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ‘বর্তমানে সেখানে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি আছেন। তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। আবার কেউ বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করেন। অল্প কিছু শ্রমিক ও ছাত্র রয়েছেন। কিছু ব্যবসায়ীও আছেন।’
দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশিদের জন্য বুধবার জরুরি পরিস্থিতিতে হটলাইন চালু করেছে কলম্বোর বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশন এক বার্তায় জানিয়েছে, যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের ০৭৪২১৫৮৭৫০ ও ০৭১২৪০৬৩১৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ায় সেখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।