দেশের বিভিন্ন স্থানে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু করেছে প্রশাসন। এ বছর ২৭ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
নিউজবাংলার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ।
উপজেলা খাদ্যগুদাম প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রতি কেজি ২৭ টাকায় কেনা হচ্ছে বোরো ধান। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ।
কার্যক্রমে সভাপতিত্ব করেন মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (এমপি)।
বোরো ধান কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে খাদ্যগুদামও পরিদর্শন করেন তিনি।
মিঠামইন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক মো. আক্কাস আলী জানান, এ বছর ২ হাজার ৪০৪ টন বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন কৃষক তিন টন ধান দিতে পারবেন।
প্রতি কেজি ২৭ টাকায় ধান কেনা হচ্ছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে।
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব, মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাঈনউদ্দিন খন্দকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম মোল্লাসহ অনেকে।
ঝালকাঠিতে সরাসরি কৃষক ও মিলারের কাছে অ্যাপসের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ ঝালকাঠির আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় জেলা খাদ্য গোডাউন চত্বরে ধান ও চাল সংগ্রহ কর্মসূচি হয়।
কর্মসূটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জোহর আলী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝালকাঠির উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলার ইউএনও সাবেকুন নাহার, ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হোসাইন।
ঝালকাঠি খাদ্যগুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা এস এম মোহেববুল্ল্যাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বছর ২৭ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঝালকাঠি সদর থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ৪৯১ টন ধান এবং ৫৯ টন চাল কেনা হবে।’
সদর উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলম তালুকদার বলেন, ‘মোবাইলে আবেদন করে লটারিতে টিকে আজ তিন টন ধান নিয়ে আসছি। আশা করা যায় এ সিস্টেমটি চালু থাকলে খাদ্যবান্ধব দেশ হিসেবে আমরা আরও এগিয়ে যাব।’
তিন টন চাল নিয়ে আসা ঝালকাঠি সদর উপজেলার লেশ প্রতাপ গ্রামের আরেক কৃষক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কষ্ট আর দুশ্চিন্তার দিন শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে চলতি বোরো মৌসুমে ২৭ টাকা কেজি দরে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করলাম। এ যেন স্বপ্নের মতো।’
চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির এক সভায় চলতি বোরো মৌসুমে সারা দেশে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ছয় লাখ ৫০ হাজার টন ধান, মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
নড়াইলে চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন হয়েছে।
নড়াইল সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে বৃহস্পতিবার নড়াইল খাদ্যগুদামে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা অর্নিবান ভদ্র।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মনিরুল হাসান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, চালকল মালিক সমিতির নেতারা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।
৪০ টাকা কেজি দরে এ বছর মোট চার হাজার ৭২৭ টন চাল এবং ২৭ টাকা কেজি দরে ছয় হাজার ৭৯৬ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।