সিরাজগঞ্জে ধর্ষণের মামলায় আবুল হাসনাত নামে র্যাবে সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন বুধবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
আবুল হাসনাত র্যাব-১২ কার্যালয়ে কনস্টেবল পদে কর্মরত। তিনি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার চাঁদশ্রী গ্রামের বাসিন্দা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় আবুল হাসনাত আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী ও বিবাদী দুজনই বিবাহিত। আবুল হাসনাত কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় কনস্টেবল পদে চাকরি করার সময় বাদীর সঙ্গে পরিচয় হয়।
বাদী তার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে আইনি সহায়তা পাইয়ে দেবেন বলে আবুল হাসনাত আশ্বস্ত করেন। এতে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই সিলেটে তাদের বিয়ে হয়, কিন্তু সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি বলে মামলায় বলা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা গাজীপুর পুলিশ লাইন্সের কোয়ার্টারে ১৮ মাস সংসার করেন। পরে হাসনাত সিরাজগঞ্জের র্যাব-১২ কার্যালয়ে বদলি হন।
২০২১ সালের ১ অক্টোবর তিনি সিরাজগঞ্জের সলংগা থানার হাটিকুমরুল মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় বাদীকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কিছুদিন পর হাসনাত বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বাদীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। এতে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিরাজগঞ্জ পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১০ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ধর্ষণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।’
আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ৮ মে আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে বুধবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে তা নাকচ হয়।