বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুটি আঙুল কেটে দিয়েছে, পরীক্ষা দেব কীভাবে

  •    
  • ১২ মে, ২০২২ ০০:২৪

আদিতমারী থানার ওসি তদন্ত মোজাম্মেল হক বলেন, ‘দুই পক্ষের অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থীসহ দুই পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষ আদিতমারী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক বুধবার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ৫ মে বাঁশ কাটা নিয়ে ঢাকায় থাকা ভাগিনা কামরুজ্জামানের সঙ্গে ফোনে বাগবিতণ্ডা হয় মামা আইয়ুব আলীর। পরদিন শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে কামরুজ্জামান বাড়িতে এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আইয়ুব আলীর বাড়িতে যান।

সেখানে তাদের বাগবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষ হয়।

আইয়ুব আলী বলেন, ‘ভাগিনা কামরুজ্জামান দলবল নিয়ে হামলা চালাতে আমাদের বাড়িতে এসেছিল। তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল। কিছু না শুনেই হামলা চালায় আমাদের ওপর।

‘আমাকে হত্যা করতে মাথায় চোট দেয়, আমাকে বাঁচাতে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা করে পাঁচজনকে আহত করে। তাদের হামলায় ভাতিজি রোজিনা বেগমের হাতের দুটি আঙুল কেটে যায়। সে অনার্স দ্বিতীয়বর্ষের পরীক্ষার্থী।’

ওই সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করে টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আইয়ুব আরও বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা শেষে নয়জনকে আসামি করে আদিতমারী থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

তবে আইয়ুব আলী ও তার পরিবারের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সরকারি চাকরিজীবী কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘আমি সমাধানের জন্য আইয়ুব আলীর বাড়িতে যাই। তখন আইয়ুব আলী আটক করে আমাদের ওপর হামলার চালায়। এতে আমাদের তিনজন আহত হয়েছে।

‘থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে চলে যান। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি।’

আহত রোজিনা বলেন, ‘কামরুজ্জামানরা হঠাৎ আমার বাবা-মার ওপর হামলা করে। তাদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আমার ওপরও হামলা চালান তারা। কুপিয়ে আমার ডান হাতের দুটি আঙুল কেটে দেয়। আগামী ১৬ মে আমার পরীক্ষা, আঙ্গুল এখনও ঠিক হয়নি। কীভাবে পরীক্ষার খাতায় লিখব জানি না।’

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘দুই পক্ষের অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর