বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদক মামলায় স্বামী খালাস, স্ত্রীর যাবজ্জীবন

  •    
  • ১১ মে, ২০২২ ২২:৫৩

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুলাই গাংনী উপজেলার রংমহল গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স জব্দ করে ৫০ গ্রাম হেরোইন। এ মাদক পাওয়া আসামি আব্দুর রহমানের বাড়ি তল্লাশির সময়। রায়ে আব্দুর রহমান বেকসুর খালাস পেয়েছেন। যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে তার স্ত্রী জরিনা খাতুনকে।

মাদকের মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন আসামি আব্দুর রহমান। তবে একই মামলায় তার স্ত্রী জরিনা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতী কুমার বিশ্বাস বুধবার এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রায়ে জরিনা খাতুনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আসামিকে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ মামলার অপর আসামি আব্দুর রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করে আদালত।’

সাজা পাওয়া আসামি জরিনা খাতুন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মিজানুর রহমান। তিনি জানান, ৩৫ বছর বয়সী জরিনা খাতুন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলি ইউনিয়নের রংমহল গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মাদক মামলার আসামি ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুলাই মেহেরপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ এ জেড মোর্শেদ আলীর নেতৃত্বে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স গাংনী উপজেলার রংমহল গ্রামে অভিযান চালায়। আব্দুর রহমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে জব্দ করা হয় ৫০ গ্রাম হেরোইন।

এ ঘটনায় মেহেরপুর জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আহসান হাবীব বাদী হয়ে মামলা করেন। ১৯৯০ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১)-এর ১ (খ) ধারায় গাংনী থানায় করা এ মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট চার্জশিট দেয়। তাতে আসামি করা হয় আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী জরিনা খাতুনকে।

সাক্ষ‍্য-প্রমাণ বিবেচনায় আদালত জরিনা খাতুনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। খালাস দেয়া হয় হয় আব্দুর রহমানকে।

এ বিভাগের আরো খবর